‘যে দলই আসুক, আমার সমস্যা নেই’
জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করলেও সেই ধারায় থাকা হয়নি ফরচুন বরিশালের। এরপর টানা তিন ম্যাচে হেরে কোণঠাসাই হয়ে পড়ে দলটি। আবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখতেও সময় নেয়নি তামিম ইকবালের দল। পরের আট ম্যাচের ছয়টি জিতে প্লেঅফ নিশ্চিত করে বরিশাল। আজ এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে তারা।
ফাইনালের রেসে টিকে থাকা বরিশালকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি লড়তে হবে রংপুর রাইডার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের বিপক্ষে। চলমান বিপিএলে এই দুই দলই আছে দুর্বার ছন্দে। তবে ফাইনালে ওঠার দৌড়ে যে দলই সামনে পড়ুক, বরিশালের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন তামিম।
সবার আগে প্লেঅফ নিশ্চিত করে রংপুর। লিগ পর্বের ১২ ম্যাচের ৯টিতে জেতে তারা। দলটির বিপক্ষে বরিশাল একটি জেতে, বাকিটি হারে। ১২ ম্যাচে ৮টিতে জিতে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে কুমিল্লা। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লিগ পর্বের দুই ম্যাচেই হারে বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যে দলই সামনে পড়ুক, লড়াইটা কঠিন হবে; এটা জানেন তামিম।
তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের শক্তির ওপর আস্থা রাখছেন বরিশাল অধিনায়ক। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, 'দুই দলই মানসম্পন্ন। ফাইনালে যেতে হলে আমাদের দুই দলকেই খেলতে হবে। তাই যে দলই আসুক, আমার সমস্যা নেই। দুই দলই খুব ভালো। আমাদের এখন শুধু নিজেদের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমরা যে ভালো জিনিস করছি বা ভুল করছি, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এরপর দেখা যাক, ২৮ তারিখে কারা আসে।'
এবারের বিপিএলে ১৩ ইনিংসে ৩টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৯১ গড়ে ৪৪৩ রান করেছেন তামিম, যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ। আজ চট্টগ্রামের বিপক্ষেও হেসেছে তার ব্যাট। ৪৩ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বরিশাল অধিনায়ক। আজকের উইকেট তুলনামূলক ভালো মনে হয়েছে তামিমের কাছে, 'উইকেট দেখে আগের দিনের চেয়ে ভালো মনে হয়েছে। তবে মিরপুরে দুপুরের ম্যাচে শুরুর দিকে বোলারদের জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য থাকে। আমার মনে হয়, প্রথম কয়েক ওভারে উইকেট কিছুটা চিটচিটে ছিল। যা আমরা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি।'
ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ ছাড়েন তামিম, তার ভুলে বেঁচে যান চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা জশ ব্রাউন। ২১ রানে জীবন পেয়ে পরে আরও ১৩ রান করেন ব্রাউন, মারেন একটি ছক্কা। এ ছক্কা হৃদয়ে গিয়ে লেগেছে বলে জানান তামিম। তার ভাষায়, 'নিজের ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে অনেক উঁচু স্ট্যান্ডার্ড রাখি। এটা (ক্যাচ মিসের পর কেমন লাগছিল) খুব কঠিন প্রশ্ন। কারণ ওই ব্যাটসম্যান খুবই বিপজ্জনক, যদি ছন্দ পেয়ে যায়। এরপর সে মনে হয় ২-৩টি (একটি) ছক্কা মেরেছে। প্রতিটি আমার হৃদয়ে আঘাত করছিল। শেষ পর্যন্ত সে যখন আউট হলো, আমি খুব রিল্যাক্সড হই।'