তামিমের শর্তের ব্যাপারে সুজন- ‘জাতীয় দল সবার উর্ধ্বে’
২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। সেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহে বিশ্বকাপে খেলেননি তামিম। এর মধ্যে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার মতো ঘটনাও রয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে তামিমের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তাদের প্রথম বিপিএল শিরোপা জেতানোর পেছনে ব্যাটসম্যান তামিমের অবদানও ছিল অনেক। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়েছেন তিনি।
সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার ফেরার একটা সম্ভাবনা জেগেছে তামিমের। তবে এই বাঁহাতি ওপেনার আগেই জানিয়েছেন, তাকে জাতীয় দলে ফেরাতে হলে অনেক কিছুই 'ঠিক' করতে হবে। যা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে বসার কথাও রয়েছে তামিমের৷
বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানের এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া পছন্দ হয়নি খালেদ মাহমুদ সুজনের। বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর কোচের দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই ক্রিকেটার তামিমের ব্যাপারে বলেছেন, 'দেখুন, তামিমের অভিজ্ঞতা নিয়ে, পারফরম্যান্স নিয়ে কারও তো কোনো কথা নেই। মিডিয়ায় আমিও শুনি। তামিমের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। এবারের বিপিএলে তামিমের সঙ্গে আমার শুধু হাত মেলানো হয়েছে খেলা শেষে। ওইভাবে বসে কথা হয়নি। আমি বলতে পারব না ও কী চাচ্ছে, কী চাচ্ছে না। যেহেতু ও বিশেষভাবে প্রেসিডেন্ট স্যারের সঙ্গেই বসতে চাচ্ছে, এখানে আমার কথা না বলাই ভালো।'
সুজন আরও যোগ করেছেন, 'কথা বলুক, কেন খেলতে চাচ্ছে না, কী হলে খেলবে, এটা ওর প্রেসিডেন্ট স্যারকে পরিষ্কার করাটাই ভালো। এটার মধ্যে আমাদের থার্ড পারসন না যাওয়াটাই ভালো। আমরা সবাই চাই, তামিম ফিরে আসুক। খেলতে চাইলে অবশ্যই খেলবে। কিন্তু শর্ত দিয়ে খেলবে, এই কথাটা শুনতে যেন কেমন শোনায়। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলব। দেশ, জাতীয় দল—এসব অনেক আগে, অনেক উর্ধ্বে। এখানে আসলে শর্ত থাকবে কী থাকবে না, এই কথাটা শুনতেই খারাপ দেখায়।'
জাতীয় দলে খেলার ব্যাপারে শর্ত আরোপ করা যে সুজনের ভালো লাগেনি সেটি তার কথাতেই স্পষ্ট, 'তামিম এত বছর বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিয়েছে, ওকে আমাদের প্রয়োজন। টিম, সিলেক্টররা আছেন, তারা যদি মনে করেন তামিমকে আমাদের প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই তামিমকে আমাদের প্রয়োজন। দরকার হলে খেলবে। কিন্তু সেটা কোনো কিছুর বিনিময়ে বা কোন শর্তে, সেটা কতটা যৌক্তিক, আমি নিজেও বলতে পারব না।'