পেসারদের দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে আটকাল বাংলাদেশ
টস জেতার পর শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস বলেছিলেন, তার দলের লক্ষ্য ২৮০-৩০০ রানের মতো সংগ্রহ করা। চট্টগ্রামের উইকেটও অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক, ভালো শুরুর পর লঙ্কানরা বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখছিল। বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়, শ্রীলঙ্কাকে ২৫৫ রানের বেশি তুলতে দেননি তারা।
একটা সময় প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই রান ৭০ এর ঘর পার করে ফেলা শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত নিজেদের সংগ্রহ বড় করতে পারেনি তিন বাংলাদেশি পেসার তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের তোপে। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত স্পিন বোলিংয়ে রানের লাগাম ধরে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। মাত্র ১০ ওভারেই ৭১ রান যোগ করেন এই জুটি। ফার্নান্দো ৩৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হওয়ার পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন নিশাঙ্কাও। দুজনকেই শিকার বানান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর সাদিরা সামারাবিকরামাকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি সাকিব। এক স্পেলে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেন এই পেসার।
পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া শ্রীলঙ্কার ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। চতুর্থ উইকেটে আসালাঙ্কাকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি বেঁধেছেন জানিথ লিয়ানাগেকে নিয়ে। মেন্ডিস আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ৫৯ রানে তাকে ফেরান তাসকিন। ৭৫ বলের ইনিংসে পাঁচটি চার ও একটি ছয় মেরেছেন মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার রান ২৫৫ তে আসার পেছনে বড় অবদান রেখেছেন লিয়ানাগে। ছয় নাম্বারে নামা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৬৯ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান। তাকে ফিরিয়েছেন শরিফুল। বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ৫১ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। শরিফুলের পেয়েছেন ৫১ রান দিয়ে তিন উইকেট। তাসকিনও নিয়েছেন তিন উইকেট, তবে তিনি রান দিয়েছেন ৬০। এছাড়া অন্য উইকেটটি নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়েছেন এই স্পিনার।