ব্যাটিং ব্যর্থতায় জ্যোতিদের টানা চতুর্থ হার
ঘরের মাঠে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দুই সংস্করণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয় ম্যাচ হারা বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষেও হারের বৃত্তে বন্দী। শক্তি বিবেচনায় ভারতের বিপক্ষে হারাটা হয়তো অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সামান্যতম লড়াই করতে না পারাটা নিশ্চয়ই হতাশার। প্রতিটা ম্যাচে একই দৃশ্য, বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। আরেকটি ম্যাচে হতশ্রী ব্যাটিং করে ভারতের বিপক্ষে বড় হার মেনে নিলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে ৫৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই সিরিজ হেরেছে স্বাগতিকরা, এই হারে ব্যবধান আরও বড় হলো। সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে জ্যোতি, মারুফারা। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আগামী ৯ মে একই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে টানা সাতটি টি-টোয়েন্টি হারলো তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। স্মৃতি মান্ধানা, ডায়ালান হেমলতা, ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর, রিচা ঘোষদের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে ভারত। সফরকারীরা ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তোলার পর বৃষ্টি হানা দেয়।
সময় স্বল্পতায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়, ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্স পদ্ধতিতে ১৪ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫। জবাবে ভারতের দিপ্তী শর্মা, আশা সোবহানাদের বোলিং তোপের মুখে ৭ উইকেটে ৬৮ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিক দলের ব্যাটিং করা ৯ জন ব্যাটারের মধ্যে মাত্র তিনজন দুই অঙ্কের রান করেন, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২১।
লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর যে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে, তা আর থামেনি। ২৫ বলে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ওপেনার দিলারা আক্তার। রাবেয়া আক্তার ১৩ ও শরিফা খাতুন ১১ রান করেন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউ-ই ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মুর্শিদা ১, অধিনায়ক জ্যোতি ১, স্বর্ণা ৫ ও রিতু মনি ১ রান করেন। ভারতের দিপ্তী ও আশা ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান পুজা ও রাধা।
এর আগে ব্যাটিং করা ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা হারমানপ্রিত। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৫টি চারে ৩৯ রান করেন ভারতের অধিনায়ক। রিচা ২৪ এবং মান্ধানা ও হেমলতা ২২ রান করে করেন। বাংলাদেশের মারুফা ও রাবেয়া ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান শরিফা।