বিপর্যয়ের পর মাহমুদউল্লাহ-শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াই
উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ করা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বাদ দিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পুরো সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের একই চিত্র। দল বিপর্যয়ে পড়বে, মাঝে একজন হাল ধরবেন কিংবা গড়ে উঠবে একটি জুটি। তাতে মিলবে লড়াই করার পুঁজি। আরও একবার সেই পথেই বাংলাদেশকে হাঁটতে দেখা গেল। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ লড়াই করলো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে।
এই দুজনের ব্যাটে এলো মাঝারি সংগ্রহ। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে এটা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এতেই প্রমাণ হয় সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কেমন হাল ছিল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারায়। পরের ওভারে সৌম্য সরকারও ফিরে যান। ৯ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের চাপ আরও বাড়িয়ে তোলেন ব্রায়ান বেনেট। পঞ্চম ওভারে তাওহিদ হৃদয়কে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি।
১৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে সামলে নেওয়ার দায়িত্ব নেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় রান ৮০ পেরোনোর পর থামেন শান্ত, ২৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ।
এই জুটি থেকে ৩৩ বলে ৩৯ রান আসে। আগের টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফেরা সাকিব ১৭ বলে একটি ছক্কায় ২১ রান করেন। ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসসেরা ৫৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ দেড়শ পেরোয় জাকের আলী অনিক ও মোহাম্মদ সাইফিউদ্দিনের ব্যাটে।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ২৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। এই জুটির বেশিরভাগ রানই অবশ্য জাকেরের। ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ১১ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ২৪ রান করেন। সাইফউদ্দিন ৪ বলে ৬ রান করেন। তানজিদ ২, সৌম্য ৭ ও হৃদয় ১ রান করেন। জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও ব্রায়ান বেনেট ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জংওয়ে।