অভিবাসীদের কারণে জার্মানিকে আর নিরাপদ ভাবেন না ক্রুস
ইউরো থেকে জার্মানির বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদায় ঘটেছে টনি ক্রুসেরও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ক্লাব ফুটবলের শেষটা রাজসিক হলেও ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে জার্মানি। তাই ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার সময়টা অম্লমধুরই লাগার কথা ক্রুসের।
গতকাল ইনস্টাগ্রামে এক বার্তা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন ক্রুস। তবে ইউরোতে স্পেন-জার্মানি ম্যাচের আগে ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত একটি পডকাস্টের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ক্রুস।
অভিবাসননীতি নিয়ে জার্মানির সমালোচনা করার পাশাপাশি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই মিডফিল্ডার বলেছেন, তার মেয়ে জার্মানির চেয়ে স্পেনেই নিরাপদ। ক্রুস অভিবাসীদের জার্মানিতে স্বাগত জানিয়েছেন ঠিকই, তবে বিশাল সংখ্যক অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনায় তার দেশের সরকার সফল হতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।
জার্মানির নিয়ন্ত্রণ হারানোর ব্যাপারে পডকাস্টে ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, 'কয়েক বছরের ব্যবধানে কিছু ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ হাত ফসকে গিয়েছে এবং এর কারণও আছে। আমার মতে, এর কারণটা হলো আমরা অভিবাসীদের ভিড়ে চাপা পড়ছি।'
অভিবাসীদের বসবাসের জন্য জার্মানিকে বেছে নেওয়াকে ক্রুস স্বাগতম জানিয়েছেন। তবে তারপরই তিনি বলেছেন, 'এটা একদমই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আমি মনে করি, আমরা এটা ঠিকঠাক দেখভাল করতে পারিনি। এমনিতে খুবই বিষয়টা ইতিবাচক ব্যাপার, এক হাজার শতাংশ সমর্থন আছে আমার। কারণ, এটা দারুণ ব্যাপার যে মানুষ বাইরে থেকে আমাদের দেশে এসে ভালো থাকছে।'
এরপর নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে ক্রুস জানান, তিনি স্পেনেই স্থায়ীভাবে থাকতে চান। অভিবাসীদের দৌরাত্ম জার্মানিকে আগের চেয়ে অনিরাপদ করে তুলেছে বলে মনে করে সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ক্রুসের মেয়ের বয়স এখন সাত বছর।
মেয়ে বড় হলে রাত ১১টায় জার্মানির কোনো শহরে বের না হয়ে স্পেনের কোনো শহরে বের হওয়া বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন ক্রুস। জার্মান এই মিডফিল্ডারের মতে, জার্মানিতে ফিরে তার মেয়ে রাতে বাইরে গেলে তার ঘরে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় থাকবেন, যে অনুভূতিটা ১০ বছর আগেও ক্রুস অনুভব করেননি।