আইসিসির হল অব ফেমে কুক, নিতু ও ডি ভিলিয়ার্স
ক্রিকেটে অসাধারণ অবদান রাখায় আইসিসির সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেলেন অ্যালিস্টার কুক, নিতু ডেভিড ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই তিন সাবেক তারকাকে ২০২৪ সালের আইসিসি হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইসিসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী কুক, নিতু, এবং ডি ভিলিয়ার্স যথাক্রমে হল অব ফেমের ১১৩, ১১৪, এবং ১১৫তম সদস্য।
২০০৯ সালে শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে হল অব ফেমের সূচনা করে আইসিসি। গত বছর ভারতের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ডায়ানা এডুলজি এই সম্মানে ভূষিত হন। এবার তার পথ ধরে ভারতীয় সাবেক বাঁহাতি স্পিনার নিতু ডেভিডও পেলেন এই বিরল সম্মাননা।
আগামী রোববার দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুক, নিতু ও ডি ভিলিয়ার্সকে হল অব ফেমে স্বাগত জানানো হবে।
১৯৯৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১০টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে খেলেন নিতু। ভারতের প্রথম নারী বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২০ উইকেট নিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। টেস্টে ৪১ এবং ওয়ানডেতে ১৪১ উইকেট নিয়েছেন নিতু। টেস্টে তার সেরা বোলিং ফিগার ৫৩ রানে ৮ উইকেট, যা এখনও মেয়েদের টেস্ট ইতিহাসের সেরা।
কুক, টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি করে নিজের আগমনী বার্তা দেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬১ টেস্টে ১২ হাজার ৪৭৩ রান করে নিজেকে সবার উপরে নিয়ে যান তিনি। যদিও সম্প্রতি তাকে টপকে গেছেন জো রুট। অধিনায়ক হিসেবে কুক ২০১৩ ও ২০১৫ সালের অ্যাশেজ জেতেন এবং ২০১০-১১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেন কুক।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কিংবদন্তি ডি ভিলিয়ার্স। তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ হাজারের বেশি রানের মালিক তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি এবং ১৫০ রানের রেকর্ড এখনও ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। সব দিকে শট খেলতে পারায় তাকে 'মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি' নামে ডাকা হতো।