চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের তিনে তিন
আগে ব্যাটিং করে ফরচুন বরিশাল যে সংগ্রহ গড়ে, তা নিয়ে জিততে বল হাতে বিশেষ কিছু করতে হতো তাদের। কিন্তু বরিশালের কোনো বোলারই তেমন কিছু করতে পারেননি। ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে সময় নিয়ে পরে দাপট দেখানো অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান সহজেই রংপুর রাইডার্সকে এনে দিলেন দাপুটে জয়।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এটা তাদের টানা তৃতীয় জয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল তারাই। দারুণ জয়ে মিশন শুরু করা তামিম ইকবালের বরিশাল দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলো হারের স্বাদ।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুশদিল শাহ, নাহিদ রানা, ইফতিখার আহমেদদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি বরিশাল। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিংও করতে পারেনি তারা, ১৮.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে হেলস ও সাইফের শতরানের জুটিতে ১৫ ওভারেই (৩০ বল হাতে রেখে) জয় তুলে নেয় রংপুর।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যদিও ভালো ছিল না রংপুরের। ১৫ রানের মধ্যেই আজিজুল হাকিম তামিম ও তৌফিক খানকে হারায় তারা। এরপরও দলকে কোনো চাপ বুঝতে দেননি হেলস ও সাইফ। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন এ দুজন।
রংপুরের ইংলিশ ওপেনার হেলস ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৯ রান করেন। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন সাইফ। রংপুরের যাওয়া দুটি উইকেটই নেন বরিশালের ১৮ বছর বয়সী তরুণ পেসার ইকবাল হোসেন ইমন।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশাল পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। দলটির কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ১৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। কাইল মেয়ার্স ১৩, মুশফিকুর রহিম ১৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ রান করেন।
শেষ দিকে লড়াই করার চেষ্টা করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মোহাম্মদ নবি। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২১ রান করেন। রংপুরের পাকিস্তানি স্পিনার খুশদিল দারুণ বোলিং করেন, ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। নাহিদ ও ইফতিখার ২টি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান ও আকিফ জাভেদ।