স্টোকসের ১৪টি নো বল চোখ এড়িয়ে গেল আম্পায়ারের, বিতর্কের ঝড়
ওভারস্টেপে টানা চারটি নো বল করলেন বোলার, সেটা চোখেই পড়লো না মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা বিরলই। আগে কখনও এমন হয়েছে কিনা, সেটা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। তবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজে এমনই ঘটনা ঘটছে। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় বইয়ে যাচ্ছে।
অ্যাজেশ সিরিজ শুরুর দিন থেকেই টানটান উত্তেজনা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এর পর বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করতে নামলে বেন স্টোকসের নাম জড়ায় বিতর্কে। পরপর চারটি নো বল করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তা খেয়ালই করেননি আম্পায়ার।
অলি রবিনসনের বলে ৩ রান করে মার্কাস হ্যারিস আউট হন। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস ল্যাবুশেন। যদিও ওয়ার্নার আউট হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু নো-বলের কল্যাণে বেঁচে যান অজি ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ৩৭ রান। ব্যাটিং করছিলেন ওয়ার্নার, বোলিংয়ে স্টোকস। ইংলিশ পেসারের করা ওভারের প্রথম চারটি ডেলিভারিই ওভারস্টেপে নো বল হয়। কিন্তু প্রথম তিনটি নো বল ধরতেই পারেননি আম্পায়ার। চতুর্থ বলে ওয়ার্নার হলে বিষয়টি নজরে আসে। পরে দেখা যায়, ওভারের প্রথম চারটি ডেলিভারিই নো বল ছিল।
এখানেই শেষ নয়, নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ওভারস্টেপে মোট ১৪টি নো বল করেন স্টোকস। এর মধ্যে কেবল একবারই তা ধরতে পারেন মাঠের আম্পায়ার। আরেকটি ধরা পড়ে থার্ড আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখার পর, যে বলে বেঁচে যান ওয়ার্নার।
এমন ঘটনায় আম্পায়ারের চরম সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, 'কেউ যদি এগুলো পর্যবেক্ষণ করার পরও নো বল না দেয়, তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়, এগুলো নো বলই ছিল। ওভারের প্রথম বলটিই যদি আম্পায়ার ধরিয়ে দিতেন, তাহলে হয়ত স্টোকস নিজেকে শুধরে নিতে পারত।'
অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার সাইমন টোফেলও মাঠের আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্তে অবাক। তিনি বলেছেন, 'এখন তো প্রযুক্তির সাহায্যে সব বল পর্যবেক্ষণ করার কথা। আমি বুঝতে পারছি না কেন এই বলগুলো পর্যবেক্ষণ করা হলো না। মাঠের আম্পায়ারদের সাহায্য করার জন্য তো আইসিসির প্রযুক্তিবিদরাও রয়েছেন।' অ্যাশেজের সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে আছেন অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেল ও রড টাকার।