করোনা আক্রান্ত হয়েও জনসম্মুখে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন জোকোভিচ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হতে এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। এরই মধ্যে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় নতুন নতুন মোড় যুক্ত হচ্ছে। অবশেষে এই তারকা স্বীকার করে নিয়েছেন যে করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও জনসম্মুখে গিয়েছিলেন তিনি এবং তার অভিবাসন ফরমেও ভুল ছিল!
নিজেকে নিয়ে চলমান বিতর্কে যেন মানুষ ভুল তথ্য না পায়, তার জন্য ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা নিজেই।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জোকোভিচ জানান, ফরাসিতে 'লে'কুইপ' নামের গণমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে দেন তিনি, কারণ তিনি ঐ সাংবাদিককে নিরাশ করতে চাননি।
তিনি বলেন, "করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময় আমি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছি এবং সবসময় মাস্কও পরেছি; শুধুমাত্র ছবি তোলার সময়টা বাদে।"
ইতোমধ্যেই জোকোভিচের এ বক্তব্য নিশ্চিত করেছে লে'কুইপ। তারা জানিয়েছে, জোকো পুরোটা সময়ই মাস্ক পরে ছিলেন এবং সাংবাদিক তাকে ৫ মিনিটের জন্য তা খুলতে বললেও তিনি খোলেননি।
সাংবাদিক ফ্রাঙ্ক রামেলা জানান, জোকোভিচ ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা বা আসন্ন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ব্যাপারে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে নিষেধ করা হয়েছিল সাংবাদিককে। তাই তিনি সেটি জানতেও চাননি।
রামেলা প্রশ্ন তুলেছেন, 'আর জিজ্ঞেস করলেই বা কি হতো?'
এদিকে অভিবাসন ফর্ম পূরণে গন্ডগোল পাকিয়েছেন জোকোভিচের এজেন্ট। তার সাম্প্রতিক ভ্রমণ বৃত্তান্ততে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগের ১৪ দিনের মধ্যে তিনি কোথাও ভ্রমণ করেননি। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে প্রথমে সার্বিয়া ও পরে স্পেন ভ্রমণ করেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।
জোকোভিচ বলেন, এজেন্টের এই ভুল সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং মানুষ হিসেবে সহজাত একটা ভুল। এর জন্য এজেন্ট ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
ভ্যাকসিন না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসা জোকোভিচকে দেশটিতে প্রবেশের পরপরই বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গত ৬ জানুয়ারি তার ভিসা বাতিল করা হয় এবং অভিবাসন হেফাজতে রাখা হয়। যদিও গত সোমবার আদালতের রায়ে তিনি আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং তার ভিসা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জোকোভিচ ইস্যুতে আবারও বাগড়া দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ধারণা করা হচ্ছে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে আগে তার ভিসা বাতিল করা হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি