লিটনের দারুণ ইনিংসের পরও দুইশ হলো না
প্রথম ম্যাচে নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের পর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসানের মিরাজের ব্যাটে স্বস্তি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপুটে বাংলাদেশ। বিশাল জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডেতে আবারও দিকহারা অবস্থা। এবার ২০০ রানও করতে পারলো না বাংলাদেশ।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লিটন কুমার দাসের দারুণ ইনিংসের পরও ৪৬.৫ ওভারে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে গেছে তামিম ইকবালের দল। বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্কের রান মাত্র চারটি, রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বোলিং তোপের মুখে বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
সাবধানী শুরুর পরও ইনিংস বড় কর পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ ওভারে ৪৩ রান তোলার পর থামেন তিনি। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এদিন ১১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। এই ম্যাচেও আফগান পেসার ফজল হকের শিকার তামিম। তিন ম্যাচেই ফজলের বলে আউট হলেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে এলবিডব্লিউ হওয়া অভিজ্ঞ এই ওপেনার তৃতীয় ওয়ানডেতে বোল্ড হন।
দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকা লিটনের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। এ দুজন ৬১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে আউট হন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারর ৩৬ বলে ৩টি চারে ৩০ রান করেন। এরপর দ্রুতই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আরী রাব্বি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে নতুন জুটি গড়েন লিটন। এই জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। লিটনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ডানহাতি এই ওপেনার ১১৩ বলে ৭টি চারে ইনিংস সেরা ৮৬ রান করেন। এরপরও অবশ্য আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এটা ছিল লিটনের ৫০তম ওয়ানডে। মাইলফলকের ম্যাচে সেঞ্চুরির পথে থেকেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহই যা রান করেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৫৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকি কেউই উইকেটে টিকতে পারেননি। তিনজন রান আউটের শিকার হন। এদিন মুশফিক ৭, ইয়াসির ১, আফিফ ৫ ও মিরাজ ৬ রান করেন।
স্পিন জাদু দেখানো রশিদ ১০ ওভারে ৩৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং করা নবী ১০ ওভারে ২৯ রানে নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন ফজল হক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।