১৩ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়ে আম্পায়ারিংয়ে জেসি
জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার তিনি, খেলেছেন দুটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি। ঘরোয়াতে আরও কয়েক বছর খেলে বিদায় জানান ক্রিকেট, সেটারও কয়েক বছর হয়ে গেল। তবে একটি ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল সাথিরা জাকির জেসির। ১৩ বছর পর অবশেষে পূর্ণ হলো তার স্বপ্ন। আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হলো বাংলাদেশের সাবেক এই নারী ক্রিকেটারের।
২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন জেসি। ২০২২ সালে এসে তিনি মাঠে নামলেন আম্পায়ার হিসেবে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তির দিনে সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এর আগে জানিয়েছিলেন, আম্পায়ার, রেফারি ও স্কোরার; সব জায়গাতেই নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তিনি। সেটারই প্রথম ধাপ হিসেবে নারীদের আম্পায়ারিং করলেন জেসি।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ লাল ও সবুজ দলের হয়ে খেলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাসিবুল হোসেন শান্ত, সৈয়দ রাসেল, জাভেদ ওমর বেলিম সহ আরও অনেক সাবেক ক্রিকেটার। এই ম্যাচে ৩ আম্পায়ারের দুজনই ছিলেন নারী। অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে জেসি ও সৈয়দ মাহবুবউল্লাহ দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন আরেক নারী ডলি রানী সরকার।
আম্পায়ারিংয়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বাসের শেষ নেই জেসির। সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, '২০০৯ সালে জাতীয় দলে থাকতেই আমি, সালমা, পান্না থেকে শুরু করে সবাই কিন্তু মোটামুটি আম্পায়ারিং কোর্সটা করেছি। আজ ২০২২ সালে এসে আমরা কাজ করার সুযোগ পেলাম বা শুরুটা করলাম।'
রোমাঞ্চের সঙ্গে ভয়ও কাজ করছিল, জেসি বলেন, 'একটু নার্ভাস ছিলাম যে নান্নু ভাইরা খেলবে, রফিক ভাইরা খেলবে। তাদের খেলা দেখে ক্রিকেটার হয়েছি, বড় হয়েছি। তাদের ম্যাচে আম্পায়ারিং করব এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা ব্যাপার। রোমাঞ্চের সাথে নার্ভাসনেসও কাজ করেছিল। কিন্তু যখনই মাঠে চলে এসেছি, তখন আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা পেশাদার মনে হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে আমার জন্য এই ম্যাচে আম্পায়ারিং করা অনেক বড় পাওয়া।'
ভবিষ্যতে আম্পায়ারিংয়ে মেয়েদের সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশা জেসির, 'আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো কাজ করার সুযোগ পাব। অবশ্যই লক্ষ্য তো আছে,আপনারা দেখবেন যেহেতু মেয়েদের বিশ্বকাপ চলছে, ম্যাচ রেফারি আছে,আম্পায়ার মেয়েরা আছে। এমনকি ছেলেদের ক্রিকেটে এখন মেয়ে আম্পায়ার আছে।'