আমেরিকায় কোচিং করাবেন আফতাব
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন ২০১০ সালে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে গেছেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এরপর আর ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামা হয়নি আফতাব আহমেদের। বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার এখন পুরোদস্তর কোচ। গত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট শিখিয়ে আসছেন তিনি। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। এবার দেশের বাইরে থেকে কোচিংয়ের প্রস্তাব পেলেন তিনি।
আমেরিকার ঘরোয়া ক্লাব আটলান্টা ফায়ার আফতাবকে কোচ হিসেবে চায়। ইতোমধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন ক্লাবটি। তবে সবকিছুই এখন প্রাথমকি পর্যায়ে, চূড়ান্ত হতে আরও কয়েকটা দিন সময় লাগতে পারে। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন আফতাব নিজেই।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, 'ক্লাবটির মালিকানায় আছেন বাংলাদেশের একজন। উনি বাংলাদেশকে প্রমোট করতে চাচ্ছেন। ক্লাবটি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কোচিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আমেরিকার ঘরোয়া এই ক্লাবটির নাম আটলান্টা ফায়ার। কোনো কিছু এখনও চূড়ান্ত নয়, চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি এখনও আমি। আপাতত মুখে কথা হয়েছে, অনেকটাই এগিয়েছে কথা। কারণ ভিসাসহ আরও অনেক কিছুরই ব্যাপার আছে।'
আফতাব জানালেন, চুক্তি হয়ে গেলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কোচিং করাতে আমেরিকা যাবেন তিনি। জুন থেকে কয়েক মাস বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন কিছু থাকে না বলে আমেরিকায় কোচিং করানোর পরিকল্পনা তার, 'সামনের মাসেই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার কাগজপত্র দিতে একটু দেরি করায় হয়তো দুই-তিন মাস লাগতে পারে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর আমাদের তেমন কিছু থাকে ন। এ সময় বৃষ্টির জন্য সব বন্ধ থাকে। এই সুযোগে ভেবেছি ওখানে কাজ করাই যায়।'
ভিন দেশে কোচিং করানোর প্রস্তাবে রোমাঞ্চিত আফতাব। এটাকে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি, 'এটা হলে আমার জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। ওখানে আইপিএলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। এদের সাথে কাজ করা মানে আমার জন্য বড় একটা অভিজ্ঞতা। আমার নিজেরও অনেক সুবিধা হবে। আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে।'
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আমেরিকায় নেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানালেন আফতাব। তিনি বলেন, 'ক্রিকেট খেলাটাই হচ্ছে মূল কাজ। কেউ যদি যেতে আগ্রহী হয়, আবার আমারও যদি সুযোগ থাকে ওই ক্লাবে নেওয়ার, সেক্ষেত্রে আমি সেটা করব। এ ছাড়া ওই চার মাস তো আমাদের এখানে অফ সিজন। এখানে বসে থাকার চেয়ে ওখানে গিয়ে খেলতে পারলে ওদের জন্যও খুব ভালো হবে।'