ব্যাটসম্যানদের শূন্যের ছড়াছড়ির মাঝেও বাংলাদেশের রেকর্ড
বিব্রতকর অভিজ্ঞতাটি আগেও একবার হয়েছে বাংলাদেশের। ইনিংসে ছয়জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সেবার মাত্র ৮৭ রানেই অলআউট হয় তারা। প্রথম দল হিসেবে দুইবার বাংলাদেশের ইনিংসে ছয়জন ব্যাটসম্যান ফিরলো শূন্য রানে। তাতে বিব্রতকর রেকর্ডে সবার উপরে নাম উঠলো বাংলাদেশের।
তিক্ত অভিজ্ঞতার দিনে দারুণ এক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ছয়জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হওয়া দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ার রেকর্ড গড়েছে মুমিনুল হকের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয়জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে ফেরার পরও বাংলাদেশ ৩৬৫ রান তুলেছে।
ইনিংসে ছয়জন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেওয়া ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ভারতের। ২০১৪ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ভারতের ছয়জন ব্যাটসম্যান ফিরেছিল শূন্য রানে, তাদের ইনিংস থেমেছিল ১৫২ রানে।
ভারত ছাড়াও ইনিংসে শূন্য রানে ছয় ব্যাটসম্যানকে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। এই পাঁচ দলের একবার করে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিব্রতকর এই রেকর্ডে নাম ওঠার দিনে পাকিস্তান ১২৮ রানে, দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৫ রানে ও নিউজিল্যান্ড ৯০ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশই একমাত্র দল, যাদের ইনিংসে শূন্য রানে ছয় উইকেট খোয়ানোর অভিজ্ঞতা দুবার হলো।
২০০২ সালে প্রথমবারের মতো তিক্ত এই অভিজ্ঞতা হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ছয়জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে বিদায় নেন। ক্যারিবীয় পেসার জারমেইন লসনের তোপে মাত্র ৮৭ রান অলআউট হয় বাংলাদেশ। শূন্য রানে আউট হন মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ পাইলট, এনামুল হক মনি, তাপস বৈশ্য ও তালহা জুবায়ের।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রানের ছড়াছড়ির শুরু মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালও। এরপর শূন্য রানেই একে একে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। এরপরও মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের রেকর্ড ২৭৭ রানের জুটিতে ৩৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ।