গ্রেনেড হামলার ১৫ বছর, স্মরণ করছে আওয়ামী লীগ
আজ ২১ শে আগস্ট। দিনটি স্মরণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
সকাল নয়টায় ২৩ নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদীতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন,মোমবাতি প্রজ্জলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ কথা জানিয়ে বলা হয়,গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ২১ আগস্ট সকাল নয়টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থকেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিতবেদীতে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে।
এছাড়া বিকেল ৪টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সভায় দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামীকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসের কর্মসূচি পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০০৪ সালের এইদিনে (২১আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
এই হামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আইভী রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। এছাড়াও আহত হন আরো ৪শ’ জন দলীয় নেতা-কর্মী।
ওই ঘটনায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, ঘটনায় সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তারেক রহমান ও লুৎফর রহমান সহ ৫২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।একই ঘটনায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে (সংশোধনী-২০০২) অপর একটি মামলায় আসামি সংখ্যা ৩৮জন।
মামলায় মোট ৪৯ জন আসামী ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এছাড়া তারেক রহমান এবং হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে।
বাকি তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।