চন্দ্রাভিযানের ৫০ বছর আর কিছু কাকতাল
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই, মানে আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে চাঁদের বুকে পা রেখেছিল পৃথিবীর সন্তানেরা। জ্বী হ্যাঁ, নীল আর্মস্ট্রং, এডুইন অলড্রিন আর মাইকেল কলিন্স - চন্দ্রজয় করে তিন মহাকাশচারী বদলে দিয়েছিলেন মানবসভ্যতার ইতিহাস।
চাঁদের বুকে মানুষের পায়ের স্পর্শের সেই ৫০ বছর পূর্ণ হবে ২০ জুলাই শনিবার। তবে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ছিল সেই ঐতিহাসিক ‘চন্দ্রভ্রমণের’ শুরু। ১৯৬৯ সালের এই দিনটাতে ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’।
অ্যাপোলো-১১‘য় চড়ে চাঁদে পাড়ি দেয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু সংখ্যাতাত্ত্বিক কাকতাল।
চলুন তবে, সংখ্যাতত্ত্বের ম্যাজিকগুলো দেখে নেয়া যাক!
Moon landing - এ দেখুন তো কয়টা বর্ণ? হ্যাঁ ঠিক তাই, ১১ টা। কিন্তু তাতে কি এসে গেল, তাই ভাবছেন তো?
চাঁদের মাটি থেকে নীল আর্মস্ট্রঙের পাঠানো বানীটি ছিল ‘That’s one small step for man, one giant leap for mankind’ - গুনে দেখুন তো কয়টা শব্দ আছে?
নীল আর্মস্ট্রঙ্গের বয়স তখন ৩৮। এখন ৩ আর ৮ যোগ করে দেখুন তো। ৩+৮ = ১১!
আবার ১১ সংখ্যাটি ১৯৬৯ এর ক্ষুদ্রতম মৌলিক গুণনীয়ক।
এখন ১১ সংখ্যাটিকে একজোড়া ১ হিসেবে দেখি। ইংরেজি বর্ণ মালার ১ নং বর্ণটা A. চাঁদে পা রাখা প্রথম ২ জনের নামের শেষ অংশটাও A দিয়ে শুরু - Armstrong এবং Aldrin।
‘NASA’ শব্দটিতেও আছে একজোড়া A, আবার Neil Arm Strong. Astronaut এর প্রথম বর্ণগুলো নিয়ে দাঁড়ায় - NASA.
ইংরেজি বর্ণমালার ১১ তম বর্ণটি K. অ্যাপোলো প্রজেক্টটি পরিচালিত হয় প্রেসিডেন্ট কেনেডির (Kennedy) সময়ে। রকেটটি উড়ে গেছিল Cape Kennedy থেকে।
তাঁরা পৃথিবীতে ল্যান্ড করেছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘Sea of Tranquility’ তে। গুনে দেখুন, ঠিক ১১ টা বর্ণ আছে!
এবার তাহলে একটা ধাঁধাঁর উত্তর খুঁজে বের করুন তো- ‘Moon Starers’ এর ১১ টি বর্ণ নিয়ে একটি শব্দ তৈরি করুন, যার বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে ‘নভোচারী’।
তবে কাকতালে ভরা এই অভিযান বিতর্কমুক্ত থাকেনি। অনেক মহল থেকে এই অভিযান ও চাঁদে পা রাখার বিষয়টাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ওই চন্দ্রাভিযান নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, এ বছর সারা বিশ্বই সফল ঐ অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। তার সঙ্গে আমরাও।
সুত্র: ‘দি ম্যাজিক নাম্বারস অব ডক্টর ম্যাট্রিক্স’ - মার্টিন গার্ডনার
উইকিপিডিয়া