চলে গেলেন এইচ এম এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আর নেই।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে আটটায় এরশাদ মারা যান।
সকালে সিএমএইচের চিকিৎসকরা এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
গত ২২ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এরশাদকে সিএমএইচে নেওয়া হলে রাখা হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।
৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তের ক্যান্সার মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন; শেষ দিকে তার ফুসফুসে দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ, কাজ করছিল না কিডনি ও লিভার।
এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজা চার স্থানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন।
তিনি বলেছেন, 'মোট চারটি স্থানে তাঁর (এরশাদ) জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রথমে ক্যান্টনমেন্টে, এরপর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, তারপর রংপুর নেওয়া হবে। রংপুরের জানাজার পরদিন জাতীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে সামরিক করবস্থানে দাফন করা হতে পারে। যদি পূর্বের সিদ্ধান্তে কোনো রদবদল না হয়। দাফনের আগে কোনো এক সময় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হতে পারে।'
রবিবার বাদ জোহর সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে ১ম জানাজা, সোমবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২য় জানাজা, সোমবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে ৩য় জানাজা এবং মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রংপুরে ঈদগাহে তার ৪র্থ নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গঠনমূলক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।