তসলিমাকে পিটিয়ে হত্যা: প্রতিবেদন দিতে আরও সময় মঞ্জুর
রাজধানীর বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ গুজব তুলে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ হিসেবে ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আরও সময় চাইলে ঢাকার মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিন নতুন তারিখ দেন।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর পর, গত জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফটকে দুই সন্তানের একক মা তাসলিমা বেগম রেনুকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে কিছু লোক।
পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও স্কুল কর্তৃপক্ষও জানান, তিনি চার বছর বয়সী মেয়ের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে তখন ওই স্কুলে গিয়েছিলেন।
রেনুকে পিটিয়ে হত্যার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই ভিডিওতে রড দিয়ে নির্দয়ভাবে রেনুকে পেটাতে দেখা যায়।
ঘটনার পর রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে থানায় এ মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এদিকে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে মঙ্গলবার একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। তাতে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার, বাড্ডা থানার ওসি, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা বোর্ডের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।