মেনসার আইকিউ টেস্টে তিন বছরের হারিজ
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো আন্তর্জাতিক আইকিউ সোসাইটি মেনসার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হল মুহাম্মদ হারিজ নাদজিম। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মালয়েশিয়ান এই বালকের বয়স মাত্র ৩ বছর!
বুধবার সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান হয়। মেনসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ৩ বছর বয়সী মালয়েশিয়ান বালক মেনসার সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য হয়েছেন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার মা নূর অনিরা আসিকিন বলেছেন, মুহাম্মদ হারিজ নাদজিমকে স্ট্যানফোর্ড-বিনেট আইকিউ পরীক্ষায় ১৪২ স্কোর করার পর এক মনৈবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর মেনসায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয় হারিজকে।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ মেনসার প্রধান নির্বাহী জন স্টিভেনেজ বলেন, "মেনসায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণে হারিজকে অভিনন্দন জানাই। অসাধারণ মেধাসম্পন্ন হারিজকে মেনসায় স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।"
মেনসা আইকিউ পরীক্ষাটি মূলত সাড়ে দশ বছরের বেশি বয়সী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নকশা করা হয়েছে। আর ১০ বছরের কম বয়সীদের আইকিউ স্কোর নির্ধারণের জন্য তাদেরকে একজন শিক্ষাসংক্রান্ত মনোবিজ্ঞানী দ্বারা মূল্যায়ন করতে হয়।
গণিত, পাঠ, মুখস্ত এবং যৌক্তিক চিন্তাভাবনার প্রশ্নের সংমিশ্রণে মেনসার পরীক্ষাটি নকশা করা হয়।
ব্রিটিশ মেনসার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ‘জনসংখ্যার দুই শতাংশের মধ্যে সেরা আইকিউ’ প্রদর্শন করলেই কেবল মেনসার সদস্য হওয়া যাবে।
আর সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই মেনসার সদস্য হলেন তিন বছরের হারিজ।
হারিজের মা নূর অনিরা আসিকিন ইংল্যান্ডের ডরহামে বসবাসকারী একজন প্রকৌশলী। তিনি বলেন,মেনসার এই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই আমরা জানতাম ও অনেক মেধাবী।
স্কুলের গণিত ও পাঠ্যক্রমের সব বিষয়ে ও প্রথম হয়। গত সেপ্টেম্বরে উভয় বিষয়ে ভালো শিক্ষার্থীদের মধ্যে হারিজের নাম করা হয়েছিল।
আর ছোটবেলা থেকেই হারিজকে ‘মিনি ব্রেইনবক্স’ বলে ডাকেন তার মা। তবে যতই মেধাবী আর অসাধারণ হোক না কেন, অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রে একজন সাধারণ শিশুর মতোই বেড়ে উঠছে সে।
অসিকিন বলেন, “আপনার ৩ বছরের বাচ্চাটার মতোই আমার হারিজ। রংপেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকতে ভালোবাসে, বই পড়ে। লেগো দিয়ে খেলতে পছন্দ করে। ও হ্যাঁ, গান গাইতেও খুব ভালোবাসে সে।”
সিএনএনকে তিনি বলেন, "হারিজের জন্য আমরা সত্যিই অনেক গর্বিত এবং আনন্দিত। শুধু পড়াশোনায়ই নয়, অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা আর ছোটাছুটি করতেও খুব পছন্দ করে সে। আর আমরা জানি, ভবিষ্যতে সমাজকে অনেক বেশি কিছু ফেরত দেবে সে।”