১৪ আগস্ট জিন্নাহর প্রস্তুতি থেকে ১৫ আগস্ট নেহরুর ভাষণ: ১৯৪৭ সালের সংবাদপত্রে ইতিহাসের দলিল
উপমহাদেশের রাজনৈতিক ভূগোলে ইংরেজ শাসনের অবসান এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তি আর এর সূত্র ধরে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। অসংখ্য বিপ্লবীর আত্মবলিদান, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সংগ্রাম থেকে শুরু সংসদে ভগৎ সিংয়ের বোমা মারা, মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি যাত্রা।
এরকম বহু রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উপমহাদেশ ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। যদিও ইংরেজ শাসকরা যাবার আগে এই অঞ্চলকে ভেঙে দিয়ে গেছে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুই রাষ্ট্রে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়েছে ভারত।
গতকাল শনিবার ছিল ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস। তবে এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান অনেকটাই স্মিমিত ছিল।
১৯৪৭ সালের সেই অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার জীবন্ত দলিল হয়ে আছে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ঐসময়ের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে তৎকালীন 'হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকার কয়েকটি শিরোনাম ও ছবি দেখে নিই চলুন।
ভারতের লাখ লাখ (মানুষ) আনন্দে উদ্বেলিত (India's Millions Rejoice)
ভারতের স্বাধীনতার সময় 'হিন্দুস্তান টাইমস উইকলি'। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্টের (রোববার) পত্রিকায় তুলে ধরা হয়েছে , প্রায় ২০০ বছর পর স্বাধীনতা লাভের উচ্ছ্বাস-আনন্দ।
দিল্লিতে পালন ভারতের স্বাধীনতা সপ্তাহ
স্বাধীনতা সপ্তাহের উদযাপনে দিল্লির গান্ধী ময়দানে সভা রাজেন্দ্র প্রসাদের।
নোয়াখালি দাঙ্গা
১৯৪৬ সালে অধুনা বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলায় সাম্প্রদায়িক শুরু হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৫,০০০-এর বেশি মানুষ। ভারতের স্বাধীনতা লাভের ঠিক আগে আরও একবার দাঙ্গা শুরু হয়েছিল নোয়াখালিতে। সেখানে গিয়েছিলেন গান্ধীজি।
জিন্নার শেষবিদায় এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা
দেশভাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ভারতের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে শিরোনামে। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে পাকিস্তানে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন গান্ধীজি। দেশভাগের আগে মহম্মদ আলি জিন্নাহ ভারতকে 'শান্তি ও সমৃদ্ধি' শুভেচ্ছা জানান।
পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন?
তখন হিন্দু-মুসলিম ধর্মের ভিত্তিতে বভক্ত উপমহাদেশ, নিজের পূর্বপুরুষের ভিটে ছেড়ে শুধু ধর্মের পরিচয়ে চলে যেতে হয়েছে অন্য অংশে। এমনই এক বিজ্ঞাপন।
১৪ অগস্টের মধ্যরাত
স্বাধীন ভারতের প্রতিজ্ঞা
দিল্লি পুরসভা কমিটির নয়া ভবন ঘুরে দেখছেন জওহরলাল নেহরু