৪০ বছর আগেও ক্রেডিট কার্ড পেতে ভুগতে হতো নারীদের!
আজ থেকে ৪০ বছর আগেও কোনো নারী ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করলে তাকে বিভিন্ন প্রশ্নের বাধা অতিক্রম করতে হতো। বিবাহিত কি না, গর্ভধারণের পরিকল্পনা আছে কি না- এ ধরনের নানা প্রশ্ন।
অবিবাহিতা কিংবা ডিভোর্স নেওয়া নারীর ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদনের জন্য একজন পুরুষের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হতো অনেক ব্যাংকেই।
বিশ্বজুড়ে নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সমান নাগরিক অধিকারের আন্দোলন শুরু করার পর, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা যে ধরনের বৈষম্যের শিকার হন, তা আলোচনায় আসে।
অবশেষে ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে 'ইকুয়াল ক্রেডিট অপরচুনিটি অ্যাক্ট' আইন পাশ হয়। মানুষের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তার ভিত্তিতে বৈষম্য বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
তার এক বছর পর, ১৯৭৫ সালে জুডি এইচ. মেলো "ফার্স্ট ওম্যান'স ব্যাংক" প্রতিষ্ঠা করেন। নিউইয়র্ক টাইমসে এরিক পেইস মেলোর মৃত্যুসংবাদে লিখেন, 'নারীবাদী আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট ব্যাংকটি ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী পরিচালিত ও নারীদের জন্য নিয়োজিত ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকে নারীরা বৈষম্যের শিকার হওয়ায় এই ব্যাংকের জন্ম।'
তবে এই আইনের পরও, ২০১২ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, নারীরা এখনো ক্রেডিট কার্ডের জন্য বেশি মূল্য পরিশোধ করেন। ফিন্যান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অথরিটির গবেষণায় দেখা যায়, নারীদের পুরুষের চেয়ে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি হারে সুদ পরিশোধ করতে হয়।
দ্য সোসাইটি পেইজেসের লিসা ওয়েড জানান, 'বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের বিজ্ঞাপনে প্রধানত দুইভাবে নারীকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। হয় তারা কেনাকাটায় আসক্ত, যারা এ কাজে নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। অথবা কেনাকাটায় আসক্ত এমন নারী, যারা স্বামীর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। এই দুই ধরনের অবস্থার উপস্থাপনই ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির জন্য সমানভাবে লাভজনক।
- সূত্র: স্মার্ট নিউজ