‘ডে অব দ্য ডেড’: করোনার বিরতি শেষে আবারও উৎসবে ফেরা
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর বন্ধ থাকলেও এবার আবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রাণ ফিরে পেয়েছে 'ডে অব দ্য ডেড' উৎসব। অপরাধ জগত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে মায়া সভ্যতার দেবতার প্রতি ধন্যবাদ জানাতেই প্রতি বছর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩০ অক্টোবর এ উৎসবের ২২তম উদযাপন আয়োজিত হয় লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড ফরেভার সিমেট্রিতে; তাতে অংশ নেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এবারের উৎসবকে দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে ভাগ করা হয়েছিল- 'ডে অব দ্য ডেড' ও 'নাইট অব দ্য ডেড'। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল সাজে মেতে ওঠেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী প্রভৃতি আয়োজনে।
এ বছর থিম হিসেবে মায়া ও আজটেক সভ্যতার প্রাচীন দেবতা 'কোয়েটজালকোটল'কে ফিরিয়ে আনা হয়; বলে রাখা ভালো, ওই দুই প্রাচীন সভ্যতার মানুষেরা বিশ্বাস করতেন, নিজের রক্ত দিয়ে মানবসভ্যতাকে বাঁচিয়েছিলেন ওই দেবতা।
'বর্তমান টালমাটাল সময়ে কোয়েটজালকোটলের পুনরুত্থানের আইডিয়াটি থিম হিসেবে যথোপযুক্ত' বলে দাবি করেন লস অ্যাঞ্জেলেস 'ডে অব দ্য ডেডে'র ড্যান্স-ডিরেক্টর গ্যাব্রিয়েল অ্যাভিলা।
'হলিউড ফরেভারে'র যুগ্ম-স্বত্বাধিকারী ও প্রেসিডেন্ট টেইলর ক্যাসিটি এই উৎসবের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'গত ১৮ মাস বেশ কঠিন কেটেছে আমাদের। ঘরে বন্দী থেকে, গণমাধ্যমের খবর পড়ে, নানা দিক থেকেই আমরা প্রতিটি দিন যেন মৃত্যুর সঙ্গে কাটিয়েছি। তাই কোয়েটজালকোটল এ বছর আমাদের জন্য আশার প্রতীক হয়ে পুনরুত্থিত হবেন, সেই প্রত্যাশায় রয়েছি।'
উৎসব ঘিরে গাঁদা ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। এ ঘ্রাণ পেতে তর সইছিল না- জানিয়ে এনপিআরকে উৎসবের পূজাবেদির কো-অর্ডিনেটর অ্যাঞ্জি জিমেঞ্জ বলেন, 'এই ঘ্রাণ আমার খুব প্রিয়। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই ঘ্রাণে আমি বুঁদ হয়ে থাকি।'
এ বছর অবশ্য করোনাভাইরাস বাস্তবতায় মাত্র ৮০ থেকে ১০০ জনকে পূজাবেদিতে ফুল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বলে রাখা ভালো, 'ডে অব দ্য ডেড'-এর ইতিহাস বেশ পুরনো। কয়েক শতক ধরেই লাতিন আমেরিকান কিছু দেশ ও মেক্সিকোতে এ উৎসব শুরু হয় ১ নভেম্বর, চলে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
-
সূত্র: দ্য ডেইলি মেইল