কিউবে হাসি, কিউবে ভাসি, কিউবে বেঁচে রই
চকবাজারের বিসমিল্লাহ টাওয়ারে শাহী নামের এক দোকান আছে। তারা রুবিক'স কিউবও আমদানি করে। তবে বিক্রি করে পাইকারি, একটা দুইটা কেনা যায় না। অথচ খাদেমুল ইনসান না কিনে থাকতেও পারছেন না। শাহীর পাশের দোকানটির নাম খাজানা। এর একজন বিক্রয়কর্মী ইনসানের পরিচিত। আর উপায় না পেয়ে ইনসান তাঁকে নিয়ে গেলেন শাহীতে। তারপর দুজনে মিলে দেন-দরবার করে কয়েকটি কয়েক রকমের কিউব কিনলেন। তখনো ইনসান অবশ্য কিউবের বিশাল দুনিয়ার খবর পাননি, মানে এতো যে ভ্যারিয়েশন জানতেন না। তবে দোকান বা মার্কেটে গেলে কিউবের দিকেই নজর যেত প্রথম। কিউব মেলানোর বিধিবদ্ধ ফর্মুলা আছে। যারা স্পিড কিউব কম্পিটিশনে যায় তারা বেশি পছন্দ করে জেসিকা ফ্রিডরিখের ফর্মুলা।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে হবে আরো কিছু পরে। তার আগে জার্মানির কারমেন ব্র্যান্ডের কথা বলতে হবে। বয়সে সে ইনসানের দুই-চার বছরের ছোটই হবে। আসলে সে ইনসানের ছোটভাই খাদেমুল জাহানের বয়সী। জাহান ব্ল্যাক নামের দেশের বিখ্যাত গানের দলের সদস্য, পড়াশোনা করেছেন ঢাকা চারুকলায়। জাহানের ছেলে কিনানের কথাও বলতে হবে এ লেখায় তবে তা কারমেনের পরে।
কারমেন ঢাকায় প্রথম আসে ২০০৩ বা ২০০৪ সালে, বেদে সম্প্রদায়ের জীবনাচার নিয়ে গবেষণা করতে। দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে সে গবেষণা আর বছরে সে আসতও দু তিনবার। তখনকার ঢাকায় ক্যাফে ম্যাঙ্গোর বেশ নাম ছিল। ধানমণ্ডিতে একটা পুরোনো বাড়িতে ছিল ম্যাঙ্গো নামের ওই লাউঞ্জ ক্যাফে। তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বসে বৈঠকি ঢঙয়ে আসর জমানোর ব্যবস্থাও ছিল ম্যাঙ্গোতে। বিদেশিরা ক্যাফেটি পছন্দ করত। জাহানের সঙ্গে কারমেনের পরিচয় ওই ক্যাফে ম্যাঙ্গোতেই। তারপর দিনে দিনে পরিচয় পরিণত হলো বন্ধুত্বে। আর তা এমনই বন্ধুত্ব যে ঢাকায় কারমেনের দিন ইনসান ছাড়া অচল। কারমেন শিবলী সাদিক পরিচালিত বিদেশিনী নামের এক বাংলা সিনেমায় নায়িকাও হয়েছিল। তাঁর কথা এতো বলতে হলো কারণ ইনসানের কিউব সংগ্রহ অভিযানের তিনি এক বড় কুশীলব। প্রথম প্রথম কারমেনকে এক-দুটি কিউবের কথা বলে পাঠাত ইনসান, কারমেন তা পাঠাতে গিয়ে দেখে কিউবের দামের চেয়ে শিপিং খরচ বেশি পড়ে যায়। তাই পরের দফাগুলোয় এক হালি বা দুই হালি করে পাঠাত। কারমেন এখন বন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার অধ্যাপক।
কিউবের আগে ইনসানের পাজল (ধাঁধা) মিলানোর শখ তৈরি হয়েছিল। তাঁদের হাতিরপুলের বাড়িতে পাজল এসেছিল ১৯৭০ সালে। সাবেকি আমলের বাড়িটি ষাটের দশকে তৈরি। তেজগাঁওয়ে বিমানবন্দর ছিল বলে তল্লাটের সব বাড়িই হতো দোতলা। তার মধ্যে ইনসানদের বাড়িটি ছিল উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম, এটি তিন তলা। বাড়িতে দূর সম্পর্কের এক মামা থাকতেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরির তিনি বিজ্ঞানী ছিলেন। জাপানে গিয়েছিলেন এক সেমিনারে অংশ নিতে। ফেরার সময় ছোট ভাইসম ইনসানের ছোট মামার জন্য নিয়ে এসেছিলেন ২১টি কাষ্ঠখণ্ডের এক ট্যানগ্রাম (বিভিন্ন গড়নের বিভিন্ন রঙের কাষ্ঠখণ্ড থাকে ট্যানগ্রামে যা দিয়ে একটি বর্গাকার ক্ষেত্র পুরাতে হয়)। ইনসান সে ট্যানগ্রামটি এখনো সযত্নে রেখেছেন।
কিনানের বয়স সাড়ে আট বছর, ইনসান কিউবের প্রেমে পড়েছেন এক যুগ হলো। তবে কিনানের বুঝ হওয়ার পর ইনসান কিউবিংয়ের আসল মানে খুঁজে পান। ইনসানের কাছে পরিস্কার হয়, কিউবিং হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার একটা মাধ্যম। এটা অঙ্কশাস্ত্র দিয়ে কাজ করে কিন্তু ফলাফল দেয় দর্শনশাস্ত্রের। তাই ইনসান বলছিলেন, 'প্রতিদিন প্রাকটিস করতে হয় নইলে ভুলে যাই। এগুলো মেলানোর নির্দিষ্ট মেথড আছে। প্রথম প্রথম খাটাতে হয় মাথা, তারপর আয়ত্ত্বে এলে হাতের ব্যবহার বাড়ে। তখন নির্দিষ্ট মুভগুলোকে অনুসরণ করে যেতে হয়। ব্যাপারটিকে বলা হয় মাসল মেমরি। তবে বেখেয়াল হলে রেহাই মিলবে না। মন অস্থির থাকলে কিউব মেলাতে পুরো দিনও পার হয়ে যেতে পারে।'
কিউব বৃত্তান্ত
এরনো রুবিকের বাড়ি হাঙ্গেরি। তিনি ভাস্কর এবং স্থাপত্যবিদ্যার অধ্যাপক। সত্তর দশকের গোড়ায় তিনি বুদাপেস্টের অ্যাকাডেমি অব অ্যাপ্লায়েড আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। তিনি তাঁর ছাত্রদের ত্রিমাত্রিক বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিতে এমন কিউব তৈরি করেছিলেন যেটি ভাগে ভাগে নড়াচড়া করানো যায়। কিন্তু তখনো বোঝেননি যে নতুন একটি ধাঁধা বা পাজল আবিস্কার করে ফেলেছেন। কিউবের খোপগুলো এলোমেলো হয়ে গেলে পরে যখন আবার শৃঙ্খলায় আনতে গেলেন তখনই বোঝেন এটি একটি আবিষ্কার। সেটি ছিল ১৯৭৪ সাল। ১৯৭৭ সালে এটি বুদাপেস্টের খেলনার দোকানগুলোর শোভা বাড়াতে শুরু করে।
লোকদের মধ্যে সাড়া ফেলতে সময় লেগেছে অল্পই কারণ ত্রিমাত্রিক ধাঁধাঁ দুনিয়াতে ছিল না তখন পর্যন্ত। আইডিয়াল টয় করপোরেশন এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করতে থাকে ১৯৮০ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠানটি প্রচারকার্যের অংশ হিসাবে টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করে। এরপর লোকের মধ্যে কিউব সংগ্রহে ব্যস্ততা তৈরি হয় আর অল্পদিনের মধ্যেই পপ কালচারের অংশী বা আইকন হয়ে ওঠে রুবিক'স কিউব। ১৯৮০ সালেই এটি জার্মান গেইম অব দ্য ইয়ারের বেস্ট পাজল পুরস্কার লাভ করে।
এর জনপ্রিয় হয়ে ওঠার গতি এতো বেশি ছিল যে ৩ বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালে বিশ্বজুড়ে ২০০ মিলিয়ন কিউব বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বেস্ট সেলিং পাজল গেইম এবং বেস্ট সেলিং টয়ের তকমাও পায় রুবিক'স কিউব। ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস মিউনিখে স্পিডকিউবিং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান ওই বছরের মার্চ সংখ্যার প্রচ্ছদে রুবিক কিউবের ছবি ছাপায়। ১৯৮১ সালের জুন মাসে ওয়াশিংটন পোস্ট লেখে, ফাস্ট ফুডের মতোই দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে রুবিক'স কিউব। এবিসি টিভি 'রুবিক, দ্য অ্যামেজিং কিউব' নামে একটি কার্টুন শো নির্মাণ করে। শুরুর কিউবগুলোর ছিল ছয়টি তল যার প্রতিটিতে নয়টি খোপ আর সেগুলোর ওপর সাদা, লাল, নীল, কমলা, সবুজ ও হলুদ রঙের স্টিকার ছিল। ১৯৮৮ সালে রঙের ব্যবস্থাপনাকে সুনির্দিষ্ট করে সাদার বিপরীতে হলুদ, নীলের বিপরীতে সবুজ ও লাল রাখা হয় সেসঙ্গে সাদা ও নীলের মুভ ক্লকওয়াইজ করা হয়।
রুবিক কিউব খেলার চেয়েও বেশি কিছু হয়ে উঠেছিল আশির দশকে। বিখ্যাত ও বিজ্ঞ লোকেরও আগ্রহ কেড়েছিল রুবিক কিউব। যেমন লন্ডন সাউথ ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কশাস্ত্রের অধ্যাপক ডেভিড সিংমাস্টার কিউব মেলানোর নোটেশন (স্বরলিপি) তৈরি করেছিলেন। তিনি একাশি সালে প্রকাশ করেছিলেন নোটস অন রুবিক'স ম্যাজিক কিউব। তার আগেই অবশ্য জেমস জি নর্স প্রকাশ করেছিলেন দ্য সিম্পল সলিউশন টু রুবিক'স কিউব। সিংমাস্টার তার নোটেশনে এফ (ফ্রন্ট), বি (ব্যাক), ইউ (আপ) ইত্যাদি ব্যবহার করেছিলেন। নর্স ব্যবহার করেছিলেন টি (টপ), বি (বটম), এল (লেফট) ইত্যাদি। এমইএস নামের আরেকটি সলভিং মেথডও জনপ্রিয় হয়েছিল। তারপর আসে জেসিকা ফ্রিডরিখের কথা, তিনি বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। স্পিডকিউবারদের গুরু। দ্রুত কিউব মেলানোর বুদ্ধি তিনি বাতলে দিয়েছিলেন। তাঁর পদ্ধতিটি সিএফওপি নামে পরিচিত। পরে স্পিড কিউবার লারস পেতরুসের মেথডও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
নতুন কিউবারদের জন্য বই অবশ্য লেখা হয়েছিল ওই একাশি সালেই। প্যাট্রিক বসার্টের ওই বইয়ের নাম ছিল ইউ ক্যান ডু দ্য কিউব আর সেটি বেস্ট সেলারও হয়েছিল।
১৯৯৭ সালে ফিলিপ মার্শাল লিখলেন দ্য আল্টিমেট সলিউশন টু রুবিক'স কিউব। মার্শালের পদ্ধতিতে কেবল মাত্র দুইটি অ্যালগরিদম (সমস্যা সমাধানের নির্ধারিত সূত্র) মনে রাখলেই কিউব মেলানো সম্ভব। আগেই বলা হয়েছে, স্পিডকিউবিং কন্টেস্ট শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালে। সেই কন্টেস্টে রোনাল্ড ব্রিংকম্যান আর জুরি ফ্রশি ৩৮ সেকেন্ডে কিউব মিলিয়ে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। পরের বছরে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড রুবিক'স কিউব চ্যাম্পিয়নশিপে ভিয়েনামের মিন থাই ২২.৯৫ সেকেন্ডে কিউব মিলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কয়েকটি বিভাগে এ কন্টেস্ট হয় তার মধ্যে এক হাতে, চোখ বেঁধে ইত্যাদি বিভাগও আছে। ২০১৮ সালে চীনের দু ইউশেং মাত্র ৩.৪৭ সেকেন্ডে কিউব মেলানোর রেকর্ড গড়েন। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের আসের কিম ৩.৮৯ সেকেন্ডে কিউব মেলান।
এপর্যন্ত হাজার রকমের কিউবের প্রচলন ঘটেছে পৃথিবীতে। গড়নের দিক থেকে এগুলো ডিম্বাকার, বর্গাকার, আয়তাকার, সর্পিলাকার বা পিরামিড আকৃতির হয়। ফারাক আছে মড আর অ্যালগরিদমেও। স্তর বা লেয়ার ধরে বেশি জনপ্রিয় তিন বাই তিন। দুই বাই দুই লেয়ারের কিউবগুলো পকেট বা মিনি কিউব নামে পরিচিত। চার বাই চার যেগুলো সেগুলোকে বলা হয় মাস্টার কিউব আর ৫ বাই ৫ লেয়ারের কিউবগুলোকে বলা হয় প্রফেসরস কিউব। এভাবে ৩৩ লেয়ারের কিউবও আছে। এরনো রুবিকের পাশাপাশি কিউবের জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আর যারা রেখেছেন তাদের অন্যতম উবে মেফার্ট (১৯৩৯-২০২২)। মেফার্ট তাঁর পিরামিংক্স নকশা করেছিলেন রুবিকেরও আগে কিন্তু পেটেন্ট নিতে দেরী করায় কিউবের গায়ে রুবিকের নাম বসে যায়। পরে পেটেন্ট নিয়ে নিজের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মেগামিংক্স, স্কিউব ডায়মন্ডসহ আরো কিছু ত্রিমাত্রিক পাজল বাজারজাত করেন। আরো আছেন রজার পেনরোজ। যুক্তরাজ্যের নোবেল বিজয়ী গণিতবিদ রজার পেনরোজের (জন্ম ১৯৩১) অবদানও উল্লেখযোগ্য। তাঁর তত্ত্ব অনুযায়ী তৈরি হয়েছে পেনরোজ কিউব যার তল মোটে তিনটি, কিউবারদের মধ্যে পেনরোজ কিউবও বেশ জনপ্রিয়।
ইনসান ও কিনানের কিউবেরা
কিনানকে ছোটবেলা থেকেই কিউবের তালিম দিয়ে আসছেন ইনসান। এখন নিজে থেকেই কিনান কিউবে নিজের ভাবনার প্রকাশ ঘটায়। যেমন কিউবের ফ্রন্ট ফেসে সে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা ফুটিয়ে তোলে। কিউব দিয়ে নিজে একটি বড়সড় ল্যাটিন ক্যালেন্ডার বানিয়েছেন ইনসান যেটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারিখ ও মাস ফ্রন্ট ফেসে আনা যায়। ইনসানের কাছে প্রায় সকল বেসিক অ্যালগরিদমের কিউব আছে, সংখ্যায় তা ১৪০টি। তার মধ্যে ভয়েড পাজল, সিলিন্ডার মেইজ, হেলিকপ্টার মড, ডমিনো মড, ডাইনো মড, স্কিউব, হুইল অব উইজডম, পাজল ইনটু পাজল, মাস্টার মরফিক্স, ঘোস্ট কেইভ ইত্যাদিও আছে। কিউব মেলাতে পারার আগে থেকেই ইনসান কিউব সংগ্রহ শুরু করেছিলেন। নিউমার্কেট, হাতিরপুল, শুক্রাবাদ থেকে কিউব কিনতেন। তারপর যখন প্রেমেই পড়ে গেলেন তখন বন্ধুরা নানান জায়গা থেকে তাকে কিউব যোগাড় করে দিত। কারমেন তো পাঠাতই, আসার সময় ব্যাগে দু চারটি নিয়েও আসত। ইউক্লিডিয়, ইওশিমোতো এবং এশ্চারের মতো বিশেষায়িত কিউবও এনে দিয়েছে কারমেন। এছাড়া ফ্রান্সের লুভ মিউজিয়াম থেকে আনা 'মোনালিসা' কিউব আছে ইনসানের কাছে, আমস্টারডামের ভ্যান গখ মিউজিয়াম প্রকাশিত 'সেল্ফ পোট্রেট ভ্যান গখ' কিউবও আছে।
ফরচুন ক্যাট দিয়ে হান্ড্রেড
ইনসান তাঁর ১০০ তম কিউবটি পুরিয়েছেন ফরচুন ক্যাট দিয়ে, এটি বিড়ালের সুরতে একটি পেনরোজ কিউব। কিনানের মা রুদাবা মহসিন উপহার দিয়েছিলেন ওই ফরচুন ক্যাট। কিনানের কাছে আছে ফলের কিউবের সেট। ফলগুলোর মধ্যে কলা, আপেল, নাসপাতিও। আছে মিকি কিউবও। আরো আছে হাউজ কিউব।
কারমেন ছাড়াও ইনসানকে কিউব সরবরাহ করেন রিয়াদ সিদ্দিকী রুশো, ক্রিস্টিন হ্যাকেনব্রোজ, জাভেদ জলিল, মেরাজ ফয়সাল, ফরিদউদ্দিন আহমেদ মিঠু, হ্যারিয়েট গাসনার, তানিয়া আহমেদ সোমা, নওশিন সিদ্দিকী মিষ্টি, ফরহাদুর রহমান জয়, সালাহউদ্দিন আহমেদ পটাশ, আহমেদ সাদি ইয়ামিন রাজিব ও মেহরিন মোরশেদ।
ইনসান চান হাই স্কুলগুলোর এক্সট্টা কারিকুলার এক্টিভিটিতে কিউবিং যুক্ত থাকুক। নিজে স্কুলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে চান। শেখাতে চান কিউবিং, কিউবিং নিয়ে একটি বই লেখার কাজেও হাত দিয়েছেন।