কবুতর যখন গোয়েন্দা: প্রাচীন গ্রিস থেকে বাংলা
কবুতর। বহু আগে থেকেই পাখিটিকে বাংলা অঞ্চলসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ব্যবহার করা হয়ে আসছে গোয়েন্দাগিরির কাজে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষের ওপর হামলার জন্যও কবুতরকে কাজে লাগানোর জন্য মাঠে নামানো হয়েছিল। এই যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই নাৎসি জার্মানিকে নাস্তানাবুদ করতে বোমা ফেলার জন্য কবুতরকে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী বি এফ স্কিনার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও খবর আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়েছে পাখিটি। আর আফ্রিকায় তো খনি থেকে কয়লা চুরির জন্যও ব্যবহার হয় পায়রা!
ধীরে ধীরে অবশ্য বার্তাবাহক হিসেবে কবুতরের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, উড়িষ্যায় এই ২০০৬ সাল অবধিও কবুতর দিয়ে থানাগুলোয় বার্তা লেনদেন করা হয়েছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগকালে যখন রাস্তাঘাট, টেলিফোন যোগাযোগ ইত্যাদি সব বিধ্বস্ত হয়ে যেত তখন কবুতর দিয়েই বার্তা আদান-প্রদান করত উড়িষ্যা সরকার। মোবাইল ফোনের যুগেও উড়িষ্যা সরকার পিজিয়ন পোস্ট অব্যাহত রেখে অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে।
ভারত স্বাধীন হওয়ার আগের বছর, ১৯৪৬ সালে, যখন বিশ্বযুদ্ধ মাত্রই শেষ হয়েছে তখন ২০০ কবুতর সেনাবাহিনীর তরফ থেকে উড়িষ্যা পুলিশকে উপহার দেওয়া হয়েছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ সহজ করার জন্য।
ভারত স্বাধীন হলে ১৯৪৮ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সম্বলপুর থেকে কটকে কবুতর পাঠিয়ে বার্তা পৌঁছেছিলেন। সংক্ষিপ্ত সে বার্তায় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন—আপনারা এমনভাবে সভার আয়োজন করুন, যেন বক্তা আর শ্রোতাদের মধ্যে বিশেষ দূরত্ব না থাকে।
উড়িষ্যার পাহাড়ি জেলা কারাপুটে প্রথম পিজিয়ন পোস্ট চালু হয়। পরে এর প্রচলন ঘটানো হয় সব জেলাতেই। আরো পরে কটকে পুলিশের সদর দপ্তর স্থাপিত হলে সেখানে বেলজিয়ান হোমার পিজিয়নের একটি প্রজনন কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়।
অন্য কবুতরের সঙ্গে বেলজিয়ান হোমারের পার্থক্য হলো এটি ১৫ থেকে ২৫ মিনিটে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে, আর এরা বেঁচে থাকে ২০ বছর পর্যন্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এটি বিরতি না নিয়ে ৫০০ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার গতিতে। ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে কবুতরগুলোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়। কনস্টেবল প্রশিক্ষকদের তারা কণ্ঠস্বর দিয়ে চিনে নিতে পারে। ১৯৮২ সালের ভয়াবহ বন্যাকালে বিচ্ছিন্ন বাংকি দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল কবুতর।
উড়িষ্যা পুলিশ তিন ধরনের কবুতর ব্যবহার করত—বন্যা বা ঝড়ের সময় ওয়ানওয়ে কবুতর, দুর্গম এলাকার থানাগুলোর খবর নিতে ও দিতে টু-ওয়ে পিজিয়ন। আরেক দল ছিল ভ্রাম্যমাণ কবুতর, যাদেরকে সঙ্গেই রাখা হতো হেডকোয়ার্টারে খবর পৌঁছানোর জন্য।
সাংবাদিকতায়ও ভূমিকা রেখেছিল কবুতর। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ১৮৪০ সালে কবুতর মারফত সংবাদ আদান-প্রদান করত। টেলিগ্রাম আবিষ্কার হওয়ার আগপর্যন্ত পল জুলিয়াস রয়টারের কবুতর বাহিনী সক্রিয় ছিল।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও বার্তা প্রেরণের বড় উপায় ছিল বেলজিয়ান হোমার কবুতর। তবে কবুতরকে যুদ্ধে ব্যবহারের ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব আমলের। ৭৭৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে যখন প্রথম অলিম্পিক গেম অনুষ্ঠিত হয় তখন অ্যাথলেটদের প্রত্যেকে একটি করে কবুতর নিয়ে এসেছিলেন সঙ্গে, যেন তার বিজয়ের খবর নিজ গাঁয়ে পৌঁছানো যায়। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে সাইরাস দ্য গ্রেট আসিরিয়া ও পারস্যের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে কবুতর চালান দিতেন। জুলিয়াস সিজারের শাসনামলে রোমানদের গল (পশ্চিম ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকা) বিজয়ের খবর পৌঁছে দিয়েছিল কবুতর। ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয়ের খবর ইংল্যান্ডে পৌঁছেছিল কবুতর। এছাড়া মোগল শাসকদেরও কবুতর খুব প্রিয় ছিল। চিত্ত বিনোদন ও বার্তা প্রেরণের জন্য তারা কবুতর ব্যবহার করতেন। সম্রাট আকবরের দরবারে প্রায় ২০ হাজার কবুতর ছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গুপ্তচর কবুতরদের গুলি করে মারার জন্য জার্মান বাহিনীর একটি দল নিযুক্ত ছিল। যুদ্ধকালে নাবিকেরা কবুতর সঙ্গে রাখত, যেন আক্রান্ত হলে ধারেকাছের আরেক জাহাজে খবর পৌঁছানো যায়। পর্যবেক্ষক উড়োজাহাজেও রাখা হতো কবুতর, উদ্দেশ্য শত্রুর অবস্থান জানিয়ে খবর পাঠানো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পিজিয়ন কর্পস দারুণ পারদর্শিতা দেখিয়েছে। ব্রিটিশ পক্ষের পিজিয়ন কর্পসে ২২ হাজার কবুতর ছিল।
১৯১৮ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের এরগঁ বনে ৫০০ আমেরিকান সৈন্য জার্মানদের ফাঁদে আটকা পড়ে। তাদের কাছে খাবার ছিল না, গোলাবারুদও ফুরিয়ে গিয়েছিল। তখন শের এমি নামের কবুতরকে দিয়ে নিজ দলের কাছে খবর পাঠাতে চেয়েছিলেন মার্কিন এক মেজর। কিন্তু শত্রুদের গোলার আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে জমিতে পড়ে যায় কবুতরটি। পরে আবার উড়ে গিয়ে ২৫ মিনিটের মধ্যে ২৫ মাইল দূরের ডিভিশন হেডকোয়ার্টারে খবর পৌছায়। আটকে পড়া সৈন্যরা চের এমির আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রাণে বেঁচে ফেরে। যুদ্ধে প্রাণীদের ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিকিন অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এ যাবৎ দেওয়া ৫৫টি ডিকিন অ্যাওয়ার্ডের ৩২টি পেয়েছে কবুতর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের সিক্রেট পিজিয়ন সার্ভিস নামে একটি শাখা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ পক্ষের গোয়েন্দা কবুতরের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ ছাড়ায়। কোনো কোনো কবুতর তো তারকাখ্যাতিই পেয়ে গেছে। এগুলোর একটি হলো দ্য মকার। ৫২টি মিশন সে সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে গায়ে একটিও আঁচড় না লাগিয়ে। জিআই জো নামের মার্কিনদের আরেকটি কবুতর বাঁচিয়ে দিয়েছিল প্রায় ১ হাজার ব্রিটিশ সৈন্যকে। ওই যুদ্ধে ভারত আর বার্মায়ও বিপুল পরিমাণ কবুতর ব্যবহৃত হয়েছে গোয়েন্দাগিরির কাজে।
১৯৪৩ সালের ৯ এপ্রিল যেমন সব প্রাদেশিক সরকারকে ভারত সরকারের যুদ্ধ বিভাগ নয়াদিল্লি থেকে একটি নির্দেশনাপত্র পাঠায়, যার বিষয় ছিল কবুতর যোগাযোগসেবা। এই পত্রের একটি কপি পেয়ে গেলাম রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল আকাইভে সংরক্ষিত ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট গ্যাজেট ফাইলে পেলাম। তাতে প্রথম নির্দেশনা হচ্ছে সমস্ত কবুতর যোগাযোগসেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত হতে হবে। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ইন্ডিয়ান সিগনাল কোরের ইন্ডিয়ান পিজিয়ন সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। সব পিজিয়ন সার্ভিসকে নিবন্ধনের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পরিস্কারভাবে উল্লেখ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল:
১. সেবা পরিচালনাকারী সংস্থার নাম
২. সংস্থার কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের নাম
৩. যে উদ্দেশ্যে সংস্থাটি পিজিয়ন সেবা পরিচালনা করে
৪. সংস্থার সদর দপ্তরের ঠিকানা
৫. সংস্থার পরিচয়জ্ঞাপক অক্ষর ও কবুতরের পরিচয়জ্ঞাপক সংখ্যা
সেইসঙ্গে পুলিশবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, কবুতর মারফত বার্তা পরিবহন পদ্ধতি কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত অবগত করতে। ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন কবুতর নজরে এলে সেগুলোয় কোনো বার্তা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতেও বলা হচ্ছে। সাধারণত কবুতর দিয়ে যেভাবে বার্তা পরিবহন করা হয় তার কিছু নমুনা এখানে উল্লেখ করা হলো:
১. ছোট্ট অ্যালুমিনিয়ামের কনটেইনার (তাবিজের মতো) দিয়ে যার ভেতরে কাগজ পাকানো থাকে
২. রাবার ব্যান্ড দিয়ে বা আঠা দিয়েও কাগজ বা পাতলা ধাতব পাত কবুতরের পায়ে সংযুক্ত থাকতে পারে
৩. পাখার নিচে বা লেজের পালকেও বার্তা যুক্ত থাকতে পারে
৪. লেজের ধারে কোথাও ছোট্ট বটুয়া ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে
৫. পাখার পালকের ওপরও বার্তা লেখা হয়ে থাকে
এর আগে ১৯৪২ সালের ৮ এপ্রিল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের গভর্নমেন্ট অভ বেঙ্গলের স্বরাষ্ট্র বিভাগের উপসচিব পিডি মার্টিন রেসিং ও ক্যারিয়ার পিজিয়ন সরকারের অনুমতি ছাড়া পোষা ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এতে কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, ক্যারিয়ার পিজিয়নের যেহেতু শত্রুপক্ষের হয়ে বার্তা বহনের সামর্থ্য আছে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়, তাই এগুলোর ব্যবহার সরকারের অনুমতি ছাড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ভারতে ক্যারিয়ার পিজিয়নের সংখ্যা অনেক নয়, তবু সতর্ক থাকা জরুরি বলেই ভাবছে সরকার।
পরের মাসে, মানে মে-র ৮ তারিখে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা সমন্বয় দপ্তর আরও একটি নোটিশ পাঠায়, যাতে বলা হয় যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কবুতর যেটি মৃত বা উড়তে অক্ষম এবং যেটি দেখে সন্দেহ হয় যে তা কোনো বার্তা বহন করছিল তবে সেটিকে যেন সত্বর পুলিশের হাওলায় দিয়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা-সোভিয়েত ইউনিয়নের কোল্ড ওয়ারের আমলেও সিআইএ কবুতরকে গোয়েন্দা কাজে লাগিয়েছে। কবুতরের পেটে ক্যামেরা বেঁধে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে নৌবন্দর ও বন্দিশালায় পাঠিয়েছিল। ক্যামেরাটির ওজন ছিল ৩৫ গ্রাম। যে ১৪০টি ছবি তোলা হয়েছিল ওই ক্যামেরা দিয়ে, তার বেশিরভাগই ঝকঝকে হয়েছিল, অন্তত ওই সময়ের গোয়েন্দা স্যাটেলাইটে তোলা ছবির তুলনায়।
বস্তুত সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোর ছবি তোলার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ক্যামেরাম্যান কবুতর প্রস্তুত করেছিল সিআইএ। গোয়েন্দাসংস্থাটি পরিকল্পনা করেছিল প্রশিক্ষিত কবুতরগুলোকে প্রথমে জাহাজে চড়িয়ে মস্কো নিয়ে যাবে তারপর সামরিক স্থাপনার ৫০ মাইল দূরের কোনো জায়গা (যেটি তার ফিরে আসার জায়গাও) থেকে সেগুলো উড়িয়ে দেয়া হবে। ১৯৭৬ সালে লেনিনগ্রাদের একটি নৌবন্দর যেখানে সোভিয়েতের সবচেয়ে আধুনিক সাবমেরিন তৈরি হয় সেখানে তারা এই পরীক্ষা চালিয়েও ছিল। লেনিনগ্রাদ পরীক্ষা সফল হওয়ার পর এমন আর কয়টি মিশন সিআইএ পরিচালনা করেছির তা জানা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া তারও আগে ১৯৪৩ সালে হিটলারবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার উপায়ের খোঁজে পশ্চিমারা যখন মরিয়া, তখন অভিনব সমাধান নিয়ে হাজির মনোবিজ্ঞানী বি এফ স্কিনার। তার সমাধান ছিল 'কবুতর'।
স্কিনার বলেন, বিমান থেকে নিশানায় নিখুঁতভাবে বোমা ফেলার একমাত্র নির্ভরযোগ্য অবলম্বন হতে পারে পায়রাকে অসাধারণ চলনক্ষমতাসম্পন্ন 'ডিভাইস' হিসেবে ব্যবহার করা। স্কিনার বোমাযুক্ত একটি ছোট রকেট বানান। তাতে ছিল তিনটি ছোট বৈদ্যুতিক স্ক্রিন ও তিনটি ছোট পায়রার বসার মতো ককপিট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পায়রাগুলো স্ক্রিনে লক্ষ্যবস্তু দেখেই চিনতে পারে এবং চেনামাত্রই খোঁচা দেয়। তিনটি পায়রা একসঙ্গে খোঁচা দেওয়ার অর্থ, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে। এভাবে ঠোকরাতে থাকলে প্রত্যেক পায়রার মাথায় সংযুক্ত তারগুলো বোমাটিকে সচল করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। পরীক্ষায় স্কিনার সফল হলেও সন্দিগ্ধ কর্মকর্তারা এ প্রকল্প নিয়ে সামনে এগোননি।
এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় খনিতে কবুতর ব্যবহার করা হয় অবৈধ রত্নপাথর পাচার করার জন্য। খনি শ্রমিকরা কাপড়ের ভেতর লুকিয়ে কবুতর নিয়ে কাজে যায়। কাজের ফাঁকে একসময় চুরির হিরেগুলো থলেতে পুরে বেঁধে দেয় কবুতরের পা ও ডানার সঙ্গে। তারপর কোনো খাদে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয় পাখিটিকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। তার সঙ্গে বন্ধ হয়েছে গোয়েন্দা কাজ ও বার্তা আদান-প্রদানে কবুতরের ব্যবহার। তবে শখের বশে এখনও পাখিটি পোষে বহু মানুষ।