মাথার ভেতরে যে ১৬ ‘অদৃশ্য কণ্ঠস্বর’ আপনাকে স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা দেয়
জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে চাইলে কী কী করতে হবে সে বিষয়ে কমবেশি সবাই নানা পরামর্শ পেয়ে থাকেন। পরিবার-বন্ধুবান্ধবের পরামর্শ তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে একাধিক গবেষণায়ও উঠে এসেছে বিষয়টি। যেমন, স্ট্যানফোর্ডের একটি গবেষণায় খুব সহজ কৌশল বলে দেওয়া হয়েছে — বন্ধুদের সুঅভ্যাসগুলো অনুসরণ করা, কিংবা খুব বেশি খাটাখাটুনি না করে শুধু কিছুদিন 'নিরপেক্ষ অবস্থানে' থাকা অর্থাৎ কিছুদিনের জন্য নিজেকে বিশ্রাম দেওয়া ইত্যাদি। এভাবে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা যায়।
আবার এ গবেষণায় নিজেই নিজেকে ছোটখাটো 'ঘুষ' দিয়ে প্রলুব্ধ করার মাধ্যমে আরেকটি ভালো কাজ করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। অর্থাৎ, কোনো পরিবর্তন আনা কষ্টসাধ্য হলেও, নিজেকে ছোটখাটো উপহার দেওয়া বা আমোদ-প্রমোদের মাধ্যমে সেই কষ্ট পুষিয়ে নেওয়া যায়।
এরকম হাজারো উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। কিন্তু ইনক ম্যাগাজিনের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এসব উপদেশ-পরামর্শ থেকে আমরা মূলত দুটি বিষয় উপলব্ধি করি: প্রথমত, সেই সব মানুষদের কথা বলা যায় যারা পরিবর্তন আনতে একেবারে মরিয়া হয়ে কাজ করেন। দ্বিতীয়ত, বহু মানুষের কাছেই মনে হয়- জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা আসলে খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু কেন?
কেন পরিবর্তন আমাদের কাছে এত কঠিন লাগে? এই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নের উত্তর পেতেই অসংখ্য মনোবিজ্ঞানী আজও গবেষণায় ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু এর কোনো সোজাসাপ্টা উত্তর নেই। তবে ইনক'র ওই প্রবন্ধের লেখক জেসিকা স্টিলম্যান জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি নিজের ইনবক্সে নিউইয়র্কভিত্তিক একজন এক্সিকিউটিভ কোচ ও লেখক স্টিভ স্লাফম্যানের এ বিষয়ে পাঠানো একটি লেখা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে লেখক ব্যাখ্যা করেছেন কেন 'পরিবর্তন আনা' আমাদের কাছে এতটা কঠিন মনে হয়।
চালিকাশক্তি > প্রতিরোধী শক্তি = পরিবর্তন
'পরিবর্তন তত্ত্ব'র জনক কার্ট লেভিন চল্লিশের দশকেই সর্বপ্রথম মানুষের মধ্যকার পরিবর্তনের সঙ্গে প্রতিরোধী শক্তির একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। কার্ট লেভিন বলেছিলেন, পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই প্রতিরোধী শক্তির চাইতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে চালিকাশক্তি বেশি হতে হবে।
ধরা যাক, আমরা যখন শরীরচর্চার পেছনে বেশি সময় দিতে চাই কিংবা নিজের কোনো স্বপ্নের প্রজেক্ট নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে চাই; আমরা ভাবি যে পুরোটাই শুধু অনুপ্রেরণার বিষয়। কিন্তু আমরা মন থেকে সত্যিই ওই স্বপ্ন পূরণ করতে চাই না কিংবা অলস হয়ে পড়ি বা আমাদের মধ্যে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে। কিন্তু আমরা যদি সত্যিই মন থেকে জোর দিয়ে চাই যে আমার নিজেকে পরিবর্তন করতেই হবে, তাহলে কাজটা আরও সহজ হয়ে ওঠে।
লেভিনের মডেল অনুযায়ী, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোন জিনিসটা আপনাকে পেছন থেকে টেনে ধরছে সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কোনটি আপনাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যভাবে বলা যায়, পরিবর্তন কেবল দৃঢ় সংকল্পের ওপরই নির্ভর করে না, আপনার সামনে প্রতিবন্ধকতা কতটা কম, তার ওপরেও নির্ভর করে।
এই প্রতিবন্ধকতা হতে পারে বাহ্যিক — যেমন, খুব বেশি ব্যস্ত শিডিউল। আবার চিনি খাওয়া ছাড়তে চাইছেন এমন কারও বাড়ির খুব কাছে যদি থাকে লোভনীয় মিষ্টির দোকান, সেটাও একটা প্রতিবন্ধকতা! তবে বেশিরভাগ সময়ই প্রতিবন্ধকতাগুলো হয় অভ্যন্তরীণ; আমাদের মন ও মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
স্লাফম্যান লিখেছেন, "বেশিরভাগ সময়ই প্রতিরোধী শক্তিটা কাজ করে আমাদের ভেতর থেকে, যদিও আমরা ভাবি যে এটা বাইরের দিক থেকে আসছে। যেমন, পরিবার, পরিবেশ, শিডিউল বা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেওয়া বস। এ চিন্তাটাই আমাদেরকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের এক ধরনের স্বস্তি দেয়; যদিও আমরা বুঝতে পারি না যে এরকম পরিবেশেই আমরা থাকতে চাই কিনা।
তবে সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি আমরা হই, তা হলো আমাদের মাথার মধ্যে কিছু 'অদৃশ্য কণ্ঠস্বর' বাজতে থাকে। এগুলোই সব ক্ষেত্রে আমাদের পেছনে টেনে ধরে।
স্লাফম্যান তার লেখায় এ ধরনের ১৬টি কণ্ঠস্বরের কথা উল্লেখ করেছেন যা আমাদের মনকে প্রভাবিত করে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন থেকে আমাদের বিরত রাখতে চায়।
১। সমালোচক: সমালোচকদের কণ্ঠস্বর আমাদের মাথায় বাজতে থাকে। তারা বলতে থাকে- "ছেড়ে দাও, তোমাকে দিয়ে এ কাজ হবে না। এ কাজটা করতে যে যোগ্যতার দরকার তা তোমার নেই। তুমি যথেষ্ট আকর্ষণীয় নও। তুমি যথেষ্ট ভালো নও। এই কাজটাও অতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। তুমি যথেষ্ট স্মার্ট নও, তোমার সেরকম প্রতিভা নেই। তুমি একজন ব্যর্থ মানুষ; তুমি যোগ্য কেউ নও। তুমি কোনোদিন সফল হবে না।"
২। বিলম্বকারী: যে কি-না অলসতার দরুন সবকিছুতেই দেরি করে। এই কণ্ঠস্বর আপনাকে বলবে, "ইতোমধ্যেই আমার হাতে এত কাজ, এই কাজটা তো আমি পরেও করতে পারি। আমি এটা কালকে করে ফেলব বা এ সপ্তাহে অন্য একদিন করলেই হবে। আমি তো এ কাজের জন্য সময়ই বের করতে পারছি না। এখন আমার ভালো লাগছে না, এ কাজটা করার জন্য যথেষ্ট অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না বা সময় ও পরিবেশও এখন উপযুক্ত নয়। পরের সপ্তাহেই এ কাজটা করলে হয়তো বেশি ভাল হবে, তখন চাপও কম থাকবে।" কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আজকের কাজ পরেরদিনের জন্য ফেলে রাখলে বেশিরভাগ সময়ই তা আর করা হয়ে ওঠে না, কিংবা পরবর্তীসময়ে নিজের ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়।
৩। বিদ্রোহী: "এই একবারই শেষ... এটা এমন কোনো বড় বিষয় নয়। না, তুমি আমাকে বলতে পারো না আমি কি করবো, না করবো! কেউ আমাকে উপদেশ দিতে থাকুক এটা আমি পছন্দ করি না। আমার নিজের ভালো আমি নিজেই দেখব। নিয়ম? সেটা আবার কি? আমি কোনো নিয়ম মানতে পারব না!"
৪। ছিদ্রান্বেষী: অনেকের মধ্যেই খুঁতখুঁতে এবং সন্দেহ প্রকাশের স্বভাব থাকে এবং যেকোনো পরিবর্তনের বেলায়ও মনের মধ্যে সেই কণ্ঠস্বর উঁকি দিয়ে যায়- "না, এ কাজের ফলাফল ভালো হবে না। এখানে সফলতার সম্ভাবনা শূন্য। তোমার কি কোনো ধারণা আছে এ কাজে কি পরিমাণ দক্ষতা দরকার? তোমার সেই দক্ষতা বা জ্ঞান নেই। তাই এটা নিয়ে আর ভেবো না, আর চেষ্টা করারও প্রয়োজন নেই। এটা ছাড়াও তোমার জীবনে আরও অনেক কিছু আছে। তুমি স্রেফ নিজেকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করছো।"
৫। নিয়ন্ত্রক: এ কণ্ঠস্বর আপনাকে বলবে, "চলো বিষয়টাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাক। চলো কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া যাক এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আগেই কিছু ব্যবস্থা নিয়ে রাখা যাক, যেগুলো আমরা মেনে চলব। কী করছ তুমি? তুমি না বলেছিলে এটা করবে না, এখন আবার সেই একই জায়গায় ফিরে এসেছ? এরকম কেন ঘটছে? আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি, তোমাকে নিজের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করতে হবে।" এ ধরনের চিন্তার ফলে ব্যক্তি তার আত্মবিশ্বাস হারায় এবং পিছিয়ে পড়ে।
৬। আত্মনির্ভরতা: অতিরিক্ত আত্মনির্ভরতাও অনেক সময় পরিবর্তনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিংবা পরিবর্তনের গতি শ্লথ করে দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের মনে হতে থাকে যে, "আমি এ ব্যাপারে অন্য কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারব না বা কাউকে বিশ্বাসও করতে পারব না। এর সবটাই আমার নিজের করতে হবে। আমি এখানে সম্পূর্ণ একা, সব দায়ভার আমার নিজের কাঁধেই নিতে হবে। আমি কোনোভাবেই দুর্বল বা অপদার্থ হলে চলবে না। ওহ, সবকিছু এখন কত কঠিন লাগছে! মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবীর ভার আমার কাঁধে!"
৭। ভীতসন্ত্রস্ত: কাজে নামার আগেই অনেকেই মনে হতে থাকে- "আমিতো এ কাজটা বুঝতেই পারছি না। এর দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে নিতে পারব না। আমি অতটা স্মার্ট নই। আমি কাজটা কখনো বুঝবোই না এবং ঠিকভাবে করতেও পারব না। তাই চেষ্টা করেও লাভ নেই। এটা আমার মাথার ওপর দিয়ে যাবে! আমার নিজেকে খুব নির্বোধের মতো লাগছে। আমি কোনোদিনই এটা শিখতে পারব না।"
৮। নিজেকে দোষী ভাবা: এ কণ্ঠস্বর বলতে থাকে, "বুঝতে পারছি না তোমার সমস্যা কী? তুমি যদি সত্যিই এটা চাইতে, তাহলে তোমার আচরণে ও কাজেই তা প্রকাশ পেত। তোমার আসলে এতে হাত দেওয়াই উচিত হয়নি। নিজের মুখ বন্ধ রাখো এবং আর কিছু করতে যেও না। তোমার উচিত ছিল অন্যভাবে এ কাজটা করা যাতে সমস্যা তৈরি না হয়।"
৯। পারফেকশনিস্ট: সবকিছুই নিখুঁতভাবে করতে চাওয়ার প্রবণতা থেকেও আমরা অনেক সময় পিছিয়ে যাই। এ ধরনের মানুষদের মনে হতে থাকে, "নাহ, এ কাজটা অত ভালো হয়নি। এখানে অনেক ভুল রয়ে গেছে। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না খুঁতগুলো? সেরা হতে চাইলে তোমাকে নিজের মান উন্নত করতে হবে আরও। তাই সৎ সাহসের সঙ্গে স্বীকার করো যে তুমি যথেষ্ট পরিশ্রম করছ না।"
১০। অস্বীকৃতি: শুধু নিজে পরিশ্রম করতে হবে বলে পরিবর্তনের কথা ভাবতেই চান না অনেকে। সেক্ষেত্রে মনে হতে থাকে: "অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, আমার আসলে এ জিনিসটা পরিবর্তনের দরকারই নেই। এটা তেমন কোনো বড় সমস্যা না। এমনকি আমার মনে হয়, এখন যেমনটা আছে তেমনটাই আমার জন্য ভালো। তাই আপাতত ব্যাপারটা ভুলে গেলেই হয়।"
১১। টাস্কমাস্টার: "তোমাকে আরও দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। আরও পরিশ্রম করতে হবে, ছেড়ে দেওয়া চলবে না। তুমি পিছিয়ে যাচ্ছো, তোমাকে আরও হাজার রকমের কাজ করতে হবে। সমালোচনার মধ্য দিয়েই তোমাকে সফল হতে হবে।"
১২। ধৈর্যহীনতা: "আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে এ প্রজেক্টটা নিয়ে কাজ করছি, তবুও কোনো উন্নতি দেখছি না। আমি এখনো সেই আগের জায়গায়ই রয়ে গেছি; কোনো পরিবর্তনই দেখছি না। শুধু আমার সময় নষ্ট হচ্ছে। এটা আসলে আমার জন্য উপযুক্ত না। তাই এটা ছেড়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই ভাল।"
১৩। প্রথানুসারী: নিজের প্রয়োজন না বুঝে হুজুগে মেতে ওঠা বা অন্যের অন্ধ অনুকরণ করা। এরকম চিন্তা থেকে আমাদের মনে হয়, "অন্যরা যা করছে আমাকেও তা করতেই হবে। আমার কি প্রয়োজন তা পরে দেখলেও হবে। তার চেয়ে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া, চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই ভালো। অনুকরণ করাই চাটুকারিতার সবচেয়ে সেরা রূপ, তা-ই নয় কি?"
১৪। বিনাশকারী: "এত চিন্তা করার দরকার কি? তুমি তো এ কাজের যোগ্যই না। তাই চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল।"
১৫। বেপরোয়া: সবকিছুকে একপাশে ছুঁড়ে ফেলে শুধু ফুর্তি করে দিন কাটানো... "চলো ফূর্তি করা যাক, খাওয়াদাওয়া, হৈ-হুল্লোড় ও পান করা যাক! এত চিন্তা করেই বা কি হবে? আমি কিছুই অনুভব করতে চাই না। চলো এর চেয়ে বরং শপিং করতে যাওয়া যাক!"
১৬। পরিকল্পনাকারী: শুধু পরিকল্পনা করে কালক্ষেপণ করা। এসব ক্ষেত্রে মনে হতে থাকে: "আমি এখনো তৈরি নই, তবে একদিন নিশ্চয়ই হব। আমাকে আগে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, সঠিক টুলস কিনতে হবে এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। এগুলো সব গোছানোর আগে তো আমি শুরুই করতে পারব না। তাই এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করি, কয়েক বছরের মধ্যে কাজ ধরার জন্য আমি প্রস্তুত হয়েই যাব।"
তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, প্রতিবন্ধকতা হিসেবে শুধু একটি কণ্ঠস্বর আপনার কানে বাজতে থাকবে তা নয়। একসঙ্গে একাধিক প্রতিরোধী শক্তি আপনার মধ্যে কাজ করতে পারে। কিন্তু স্লাফম্যান বলছেন, "এ কণ্ঠস্বরগুলোর দিকে কর্ণপাত করা এবং প্রতিরোধী শক্তি হিসেবে এদের ভূমিকা চিহ্নিত করতে পারলেই এগুলোকে উপেক্ষা করাও সহজ হয়ে যায়।"
স্লাফম্যানের ভাষ্যে, "নিজের প্রতিরোধী শক্তিগুলোকে চিনতে পারা এবং সেগুলো কীভাবে আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তা বুঝতে পারাটা জরুরি।"
অবশ্যই এগুলোকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। কিন্তু অন্তত এই ১৬টি 'অদৃশ্য কণ্ঠ' সম্পর্কে জানার পর অনেকেই নিজের সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন এবং এগুলো মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন। এর ফলে নিজের স্বপ্নপূরণ ও জীবনে পরিবর্তনের পথটা সুগম হবে বলে আশা করা যায়।