মুকেশ আম্বানির চোখে ২০২১ সালের শীর্ষ ৫ বই
ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনোমিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি তার ২০২১ সালে পঠিত শীর্ষ ৫টি বইয়ের নাম উল্লেখ করেছেন। বইগুলো তাকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে মনে করছেন তিনি। রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্টির চেয়ারম্যানের পঠিত বইগুলো সম্পর্কে একনজর দেখে নেয়া যাক।
টেন লেসনস ফর পোস্ট-প্যান্ডেমিক ওয়ার্ল্ড (লেখক: ফরিদ জাকারিয়া)
বইটিতে ফরিদ জাকারিয়া কোভিড-১৯ মহামারির সাথে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া অন্যান্য ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মধ্যকার অভাবনীয় সাদৃশ্যতা দেখিয়েছেন। এই বিপর্যয়গুলো একইসাথে আমাদের উন্নত জীবন ব্যবস্থার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট সরকারের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও উন্মোচন করে দিয়েছে। আমরা সকলেই জানি, এই ভঙ্গুর ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ দ্রুত চিহ্নিত করার পাশাপাশি সংস্কার করা একান্ত জরুরী। দক্ষ নেতৃত্ব,জীবনধারনে রুচী বদলানো বা আন্তর্জাতিক সহযোগীতার মাধ্যমে এই পরিবর্তন ঘটতে পারে। "প্রাদুর্ভাব অপরিহার্য তবে মহামারী চাইলেই আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি'' বইয়ের এই লাইনটি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
প্রিন্সিপলস ফর ডিলিং উইথ দ্যা চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড অর্ডার: হোয়াই ন্যাশন্স সাকসিড এন্ড ফেইল (লেখক: রে ডালিও)
চমৎকার এই বইতে বিগত ৫০০ বছরের ইতিহাসে প্রধান কিছু রাষ্ট্রের উত্থান-পতনকে উপজীব্য করা হয়েছে। রাষ্ট্রগুলোর সাফল্য এবং ব্যর্থতার পেছনে যেসব নিয়ামক কাজ করেছে তার এক বিশদ বর্ননা রয়েছে বইটিতে। যারা সময়ের চেয়ে এগিয়ে গিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বইটি নির্দেশিকার মতো কাজ করবে। নীতিনির্ধারক, উদ্যেক্তা, কোম্পানির নির্বাহীগণ, বিশেষত যুব সমাজের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য বই বলে বিবেচিত হতে পারে।
দ্য রেইজিং ২০২০: কম্পানিজ, কান্ট্রিজ, পিপল এন্ড দ্যা ফাইট ফর আওয়ার ফিউচার (লেখক: এ্যালেক রস)
আমাদের সমাজের নানা অলিখিত বিধান রয়েছে যার মাধ্যমে সমাজ পরিচালিত হয়। লেখক এসকল অলিখিত শর্তসমুহ যেমন, নাগরিকের ও রাষ্ট্র কিংবা ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে এই বইটিতে গভীর আলোকপাত করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এই সময়ের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রচিন্তকদের।
২০৩০; হাউ টুডেজ বিগেস্ট ট্রেন্ডস উইল কলাইড এন্ড রিশেইপ দ্য ফিউচার অফ এভ্রিথিং (লেখক: মাউরো গিলেন)
২০৩০ সালের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রগুলোর কার্যক্রমকে সুক্ষ্ণদৃষ্টি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে। একটি রাষ্ট্রের বর্ধিত জনসংখ্যা এবং অর্থনীতিতে তার যে প্রভাব বিদ্যমান তা নিখুতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে। দ্রুত নগরায়ন, প্রযুক্তির বিকাশ এবং স্বয়ংক্রিয় পণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিকগুলো লেখক সাবলীল ভাবে বইটিতে তুলে এনেছেন।
বিগ লিটল ব্রেকথ্রোস; হাউ স্মল, এভ্রিডে ইনোভেশনস ড্রাইভ ওভারসাইজড রেজাল্টস (লেখক: জোশ লিংকার)
মূলত উদ্যেক্তাদের জন্য লেখা এই বইটিও মাস্টরিড একটি বই হিসাবে গণ্য করা যায়। বইটি পড়ে জানা যাবে কিভাবে ক্ষুদ্র একটি সৃজনশীল চিন্তা ব্যবসায় লাভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিদিন ছোটো খাটো সৃজনশীল বিষয় অনুশীলন ব্যবসার উন্নতির জন্য নিয়ামক রুপে কাজ করে। কোভিড পরবর্তী সময়ে এসব সুযোগকে কাজে লাগানোর ধরনসমূহ এই বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে বিবেচ্য।