অজ্ঞাত রোগে ৩০ কুকুরের মৃত্যু, আতঙ্ক
নেত্রকোনার হাওড় জনপদ খালিয়াজুরীতে হঠাৎ করেই কুকুরের মড়ক দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত তিন-চারদিনে অজ্ঞাত রোগে অন্তত ৩০টি কুকুর মারা গেছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত, ঠিক তখনই একের পর এক কুকুরের মৃত্যুতে উদ্বেগ বেড়েছে আরও। এদিকে কুকুরের পাশাপাশি কয়েকটি বিড়ালও মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খালিয়াজুরী উপজেলার পুরানহাটি গ্রামের শফিকুল ইসলাম তালুকদার বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, চার-পাঁচদিন আগে প্রথম একটি কুকুর মারা যায়। তখন এলাকাবাসী বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেন। কিন্তু গত এরপর কুকুরের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শফিকুল আরও জানান, গত দুদিনেই ৯টি কুকুর মারা গেছে। এর মধ্যে বানিয়াপাড়ায় একটি, খালিয়াজুরী বাজারে একটি, পুরানহাটিতে দুটি, উত্তর হাটিতে একটি, দীলহাটিতে একটি ও খালিয়াজুরী থানায় তিনটি কুকুর মারা গেছে। এগুলোর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ।
খালিয়াজুরী সদরের ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আবু ইছহাকের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় কিছু তরুণ প্রতিদিন মৃত কুকুরগুলোকে মাটিচাপা দিচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, কুকুরগুলো অসুস্থ হওয়ার তিন-চারদিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে। রোগাক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে পায়ের খোড়াগুলো ফুলে যায়। পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় কুকুরগুলো উঠে দাঁড়াতে পারে না। এমনকি কিছু খেতেও পারে না। না খেয়ে তিন-চারদিনেই শরীর শুকিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ঝিমুতে ঝিমুতে মারা যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভ্যাটেরনারি সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার পুরানহাটি গ্রামে গিয়ে কয়েকটি মৃত কুকুর পর্যবেক্ষণ করেন। কী কারণে কুকুরগুলো মারা যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
ডা. জাহাঙ্গীর বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে শিগগিরই জানানো হবে।