অনলাইনে কমমূল্যে পেঁয়াজ কেনা যাবে ই-ক্যাব সদস্য বিক্রেতা থেকে
অনলাইন শপ থেকে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য নায্যমূল্যে পেয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি। ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় গ্রোসারি ই-কমার্স শপগুলো কমমূল্যে আমদানিকৃত পেয়াজ বিক্রির সুযোগ পাবে।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে ই-ক্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও ৬ লাখ টন পেয়াজ মজুদ আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবুও মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও কম দামে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে |
ই-ক্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার থেকে পেয়াজ পেলে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ক্যাম্পেইন শুরু করবে এবং শীঘ্রই সরকার নির্ধারিত দামে অনলাইনে পেয়াজ বিক্রি শুরু করবে। ইতোমধ্যে ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি যৌথভাবে এসংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরী করেছে। যার অধীনে একটি সমন্বয় ও নজরদারি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারিশপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেয়াজ বিক্রি করছে কিনা তা তদারক করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানকে প্রধান করে এই কমিটি প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধি, একজন ই-ক্যাব প্রতিনিধি, একজন অনলাইন শপ প্রতিনিধি ও একজন টিসিবি প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন। এছাড়া গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য ৩ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন শপগুলোর সাথে এবিষয়ে বিস্তারিত মত বিনিময় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, "আমরা ই-ক্যাব থেকে ইতোমধ্যে করোনাকালীন নিয়মিত সেবা দিয়ে মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য সরবরাহ, আম মেলার মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রয় ও ডিজিটাল কুরবানি হাটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে একদিকে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি অন্যদিকে জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব সময় আমাদের সাথে ছিল। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর সফলতাই আমাদেরকে আজ পেয়াজের বাজারে নিয়ে এসেছে।"