অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চক্রের প্রধান মামুন তালুকদার এবং তার দুই সহযোগী রাজু ফারাজী ও মো. মিঠু মৃধা। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ- কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশচিত করেছে।
শুক্রবার ভোরে সাইবার ব্যাংক প্রতারক চক্রের প্রধান মামুনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সহযোগী রাজুকে একই দিন ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে এবং পরদিন ভোরে মিঠুকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ব্যাংকিং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, ৭টি বিশেষ অ্যাপসযুক্ত মোবাইল ফোন, ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিমকার্ড, একাধিক ব্যাংক, বিকাশ, নগদ ও স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
বেশ কিছু মাস ধরে এই প্রতারক চক্র অভিনব ও সুনিপুন কায়দায় বিভিন্ন ডায়লার অ্যাপস দিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের হেড অফিসের কার্ড ডিভিশনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে শাখা-ম্যানেজারদের কল দিয়ে আগের মাসের নতুন কার্ড ব্যবহারকারীদের নাম, কার্ড নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। তারপর প্রতারকরা ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট সেজে গ্রাহকদের কল করে বলতেন যে, তারা ব্যাংক থেকে তার নতুন কার্ডটি একটিভ করা বা অন্য কিছু ফিক্স করার জন্য কল করেছেন।
এরপর চক্রটি কৌশলে স্পুফড মোবাইল কলের মাধ্যমেই গ্রাহকদের কার্ডের মেয়াদ, ৩/৪ ডিজিটের সিভিভি কোড এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে মোবাইলের ওটিপি সংগ্রহ করেন গ্রাহকদের কার্ড থেকে টাকা/ডলার প্রতারকদের লন্ডন ভিত্তিক ই-কমার্স অ্যাপস স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট, বিকাশ বা নগদ এ ট্রান্সফার করে ও পরবর্তী সময়ে এটিএম বুথ বা বিকাশ বা নগদ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতেন।
এভাবে দেশের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকের শতাধিক গ্রাহকদের অর্ধ কোটি টাকা চুরি গেলে কয়েকটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ আসলে উক্ত টিম ঢাকা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং কক্সবাজারের প্রায় লক্ষাধিক মোবাইল নম্বর ও ডায়লার অ্যাপসের আইপি বিশ্লেষণসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উক্ত প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করেন।
উক্ত ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ গ্রেফতারকৃতদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷