আকাশ থেকে নয়, শিপইয়ার্ড থেকে এসেছে ক্রেনের অংশটি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারীতে উড়ে এসে পড়া প্রায় ৪০ কেজি ওজনের ধাতব বস্তুটি আকাশ থেকে নয়, পার্শ্ববর্তী ফেরদৌস স্টিল করপোরেশন নামের শিপইয়ার্ড থেকে ছিটকে এসে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধি।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, এটি ক্রেনের অংশ। পার্শ্ববর্তী ফেরদৌস শিপইয়ার্ড থেকে ক্রেন ভেঙে উড়ে এসে এটি এখানে পড়েছে। এই এলাকায় অনেকগুলো শিপইয়ার্ড রয়েছে। প্রায় সময় শিপইয়ার্ড থেকে ছোট ছোট ধাতব বস্তু উড়ে আসে। তবে এই প্রথম ক্রেনের বিশাল অংশটি উড়ে এসে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পড়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পূর্বহাসনাবাদ গ্রামের মিত্র বাড়ির পাশেই ধাতব বস্তুটি এসে পড়ে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপ-কমিশনার হাসান মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বস্তুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেটি জাহাজের বলে নিশ্চিত হয়েছে। ঘটনাস্থলের থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কয়েকটি শিপইয়ার্ড রয়েছে। সেখানে নিয়মিত জাহাজ ভাঙা হয়। বস্তুটি শিপইয়ার্ড থেকে এসেছে বলে আমরা নিশ্চিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, বস্তুটি আকাশ থেকে উড়ে আসেনি। এটি আলোকিক কিছু নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
উড়ে আসার পর বস্তুটি প্রায় ১০ ফিট মাটির নিচে ঢুকে যায়।
পরে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গর্ত থেকে রাত ৮টার দিকে ধাতব বস্তুটি তুলে আনে।
ফেরদৌস শিপইয়ার্ডের পরিচালক ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গতকাল আমরা একটি বড় ক্রেন ভেঙেছি। ঝুঁকি এড়াতে আশপাশের গ্রামের লোকজনকে আমরা সরিয়ে নেওয়া হয়। এটা ভাঙার সময় বিকট শব্দ হয়েছে। তবে দেড় কিলোমিটার দূরে উড়ে যাওয়া ক্রেনের অংশটি সেটি আমাদের শিপইয়ার্ড থেকে গেছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ মোল্লা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি খবর দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। উদ্ধারের পরে প্রায় ৪০ কেজি ওজনের ধাতব বস্তুটি থানায় আনা হয়।