আবরারকে পেটানোর পরিকল্পনা হয়েছিল কদিন আগেই, জবানবন্দিতে রবিন
বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিনের জবানবন্দিতে অক্টোবরের শুরুতেই আবরারকে পেটানোর পরিকল্পনার কথা জানা গেল।
পরিকল্পনামতো বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর ৬ অক্টোবর রাত আটটায় আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে আনা হয। সেদিন আবরারকে প্রথম আঘাতটি করেছিলেন রবিন নিজে।
সোমবার প্রদত্ত জবানবন্দিতে রবিন সব ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তার কথায় উঠে এসেছে ঘটনায় আবরারের রুমমেট মিজানেরও সংশ্লিষ্টতার কথা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আবরার হত্যার জন্য প্রধান অভিযুক্তদের একজন রবিন। তিনি ছিলেন সংগঠনের হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। আবরারকে মারার আদেশটি তিনিই দিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।
৬ অেক্টোবর রোববার রাত আটটার দিকে কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে ফেরার পর আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে যান মিজান। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে পেটাতে শুরু করেন রবিন। খানিক পর রুম ছেড়ে চলে যাবার সময় তিনি পেটানো চালিয়ে যেতে অন্যদের বলে যান।
এর আগে, অক্টোবর মাসের শুরুতেই হলের ক্যান্টিনে আবরারের রুমমেট মিজানের সঙ্গে রবিনের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেখানে মিজান ছাত্র শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তার সন্দেহের কথা তাদেরকে জানান।
ওই বৈঠকেই আবরারকে পেটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রবিনের এসব বক্তব্য রেকর্ড করেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে রবিনের জবানবন্দির বিষয়ে জানান চকবাজার থানার পরিদর্শক ও জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার মাজহারুল ইসলাম।