ইউএনও-মেয়রের দ্বন্দ্ব: রাস্তায় আবর্জনার স্তূপ নিয়ে ভুগছে বরিশালের জনগণ
বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়রের সমর্থকদের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষের দুই দিন পরও গতকাল শুক্রবার শহরে একরকম ভীতিকর নীরবতা বজায় ছিল। মেয়র ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অবরোধ অব্যাহত থাকায় নগরীর রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস প্রাঙ্গণ থেকে কিছু ব্যানার অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কয়েক ডজন কর্মী ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালায়। সেই সংঘর্ষের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ইউএনও এবং পুলিশ।
এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে, ভুক্তভোগী হয়ে।
নথুল্লাবাদ এলাকার বরিশাল সেন্ট্রাল বাস টার্মিনালের বাসিন্দা ফজলে স্বপন জানান, গত দুই দিন ধরে রাস্তায় আবর্জনা পড়ে আছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি রাতে আবর্জনা পরিষ্কার করা হত, কিন্তু সংঘর্ষের পর থেকে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
মেয়রের সমর্থক, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীসহ পরিবহন শ্রমিকরা বুধবার রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় যান-চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে রেখেছিল। বুধবার রাত থেকেই আর রাস্তায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক রুবেল জানান, কাশিপুর থেকে আমতলা মোড় পর্যন্ত তিনি রাস্তার মাঝখানে এবং ইউএনও অফিসের সামনে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, "আমাদের গাড়ি চালাতেও সমস্যা হচ্ছে।"
বিএম কলেজ রোড এলাকার মাহফুজ জানান, দুই দিন ধরে এলাকায় ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। এখানকার বাতাস দুর্গন্ধে ভরে গেছে এবং আবর্জনার স্তূপগুলোর জন্য এলাকার যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, করোনার টিকা প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবীরা বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৪টি টিকা কেন্দ্র থেকে প্রস্থান করেছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন এবং প্রধান পরিচ্ছন্নতা অফিসার ড রবিউল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
- সূত্র: ইউএনবি