ইউএনও'র ওপর আক্রমণের কথা স্বীকার করেছেন মালি
সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় রবিউল ইসলাম (৪৩) নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এক সরকারি কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রবিউল পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
প্রেস ব্রিফিংয়ে দিনাজপুরে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ওসি ইমাম জাফরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার রবিউল আটক করা হয়। তিনি ওই জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মালি পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ৫০ হাজার টাকা চুরির অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, '২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি।'
'আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভ ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া গেছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করব,' বলে জানান ডিআইজি।
প্রেস ব্রিফিং শেষে আটক রবিউল ও এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত আসাদুলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসাদুল ইসলাম ৭ দিন ধরে রিমান্ডে ছিলেন। শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
এছাড়াও ইউএনও'র বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই মামলায় রবিউল ইসলামকে আটক করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।