ইউপি নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা, কক্সবাজারে এবার গুলিবিদ্ধ মেম্বার প্রার্থী
ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার জেরে সোমবার রাতে আরেকজন মেম্বার প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কক্সবাজারে।
কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড, তোতকখালীর মেম্বার প্রার্থী গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রেজাউল তার কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে তোতকখালীতে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিমকে এলাকার লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি।
পিএমখালীর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
গুলির পেছনে কে দায়ী, তা জানা না গেলেও ওয়ার্ডের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অপরজনকে দায়ী করেছেন।
তবে গুলিবিদ্ধ প্রার্থী রেজাউল এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার ঝিলংজা ইউনিয়নে বিসিক ও লিংকরোড এলাকার মেম্বার প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদার এবং তার বড় ভাই জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার কর্মী-সমর্থক নিয়ে অফিসে আলোচনা করার সময় দুর্বৃত্তরা তাদের গুলি করে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ দুই ভাইকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জহিরুল, তাকে পরদিন সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দাফন করা হয়। জহিরুলকে দাফনের ৪ ঘণ্টার মাথায় পার্শ্ববতী ইউনিয়ন পিএমখালীতে গুলির ঘটনা ঘটল।
১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট এসব সহিংসতায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।