ইনকিউবেটরে জন্মালো উটপাখির বাচ্চা
মরুভূমি অঞ্চলের প্রাণী উটপাখির ডিম থেকে ইনকিউবেটরের (তাপযন্ত্র) মাধ্যমে চারটি বাচ্চা ফুটেছে গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। বালুময় বিস্তীর্ণ মরুভূমির প্রাণীর বাচ্চা ফুটিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। আরও কিছু ডিম ইনকিউবেটরে রাখা আছে। এসব ডিম থেকে একাধিক উটপাখির বাচ্চা ফুটবে বলে আশা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও পার্কে প্রাকৃতিক পরিবেশে দুইবার উটপাখির বাচ্চা ফুটেছিল। প্রতিবছরই উটপাখি নিয়মিত ডিম দিলেও বাচ্চা না ফোটা নিয়ে হতাশ ও অসন্তুষ্ট ছিল কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম ফোটানোর পরিকল্পনায় সে অসন্তুষ্টি কেটে যাবে এমনটাই ধারণা করছেন পার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। গত ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি তিন দিনে উট পাখির ৪টি ছানা ফুটেছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সাফারি পার্কের জন্য ২০১৩ সালে দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৬টি উটপাখি আমদানি করা হয়। পরবর্তীতে পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের ইমু পাখির বেষ্টনির পাশের বেষ্টনিতে রাখা হয় উটপাখিগুলো। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রাকৃতিকভাবে উটপাখির একটি বাচ্চা ফোটে। এর পরের বছরই আরও দুটি বাচ্চা ফোটে।
প্রতি বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম পাড়লেও বাচ্চা ফুটছিল না। এ নিয়ে কতৃর্পক্ষ বেশ অসন্তুষ্টিতে ছিলেন। এর আগে ময়ূরের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল ইনকিউবেটরের মাধ্যমে। এবার ইনকিউবেটরের মাধ্যমে উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোয় সফলতা পাওয়া গেল।
উটপাখির ছানাদের দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সমির সুর চৌধুরী জানান, "নিয়মিত ঘরের তাপমাত্রা মাপা হয়। কলমি শাক, বাধাকপি কুচি ও স্টাটার ফিড খেতে দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের।"
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তবিবুর রহমান বলেন, "পার্কের উটপাখিগুলো সব সময় ব্রিডিং করে। সময়মত পর্যাপ্ত ডিমও দেয়। কিন্তু বাচ্চা ফুটতো না। ফলে প্রায় সব ডিম নষ্ট হয়ে যেতো। এ নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল আমাদের । তবে এ বেষ্টনিতেই দু'বার প্রাকৃতিকভাবে বাচ্চা ফুটেছে।"
তবিবুর রহমান আরও বলেন, "এ পদ্ধতি অবলম্বন করে এখন নিয়মিত উটপাখির বাচ্চা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এ সাফল্য আমাদের সকলের প্রচেষ্টার ফসল।"