ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দুই সহোদরকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে মৃত্যুদন্ড, ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১০ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সি মো: মশিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি পলাতক রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ৯ আসামিকে পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।
এছাড়াও দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছর করে কারাদন্ড দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করেন স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান। আসামিরা যোগসাজশে হামলা করে মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি(নারী ও শিশু) অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। এ রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। সমাজে অন্যায় করে পার পাওয়া যায় না - এই রায় তাই প্রমাণ করল।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী জাহারুল ইসলাম। তিনি জানান, “আইনের কাছে অপরাধীদের কোন ছাড় নেই। আইন সবার জন্য সমান”।