উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
চলতি মাসের শুরু থেকেই উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে। গরম গরম কাপড় বিক্রি শুরু করছেন দোকানীরা। রাতে বাতাস বইছে, তাই কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করছেন মানুষ। সকালে অনেক শীত পড়ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ। বেশি শীত পড়ছে উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়।
এ বছর শীত জেঁকে বসার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। চলতি বছর বৃষ্টির দাপটের পর আসছে হাড়কাঁপানো শীতের দাপট। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যেমন বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল, তেমনই শীতের তাপমাত্রাও বেশি হবে আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের।
সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা প্রতিদিন কমতে শুরু করছে। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুয়েকদিনে এটি ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
সোমবার দিবাগত রাত থেকেই শীতের তীব্রতা একটু বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে ওই অঞ্চলে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা উপজেলার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ডিমলা উপজেলায় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরে ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়ার জহিরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীত বেড়েই চলছে।রাতে ঠাণ্ডা ও দিনে গরম লাগছে। তবে অনেক বেশি শীত এসে পড়েছে। রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া ঘুমানো যায় না।
নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন শীত বাড়ছে। এ কারণে রাতে গরম কাপড় বের হতে হচ্ছে। আবার দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা লাগছে।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে এবার আগাম শীত শুরু হয়েছে। তবে শীতের সময় যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ বাড়তে পারে। এর জন্য সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
'আগামীতে শীত বেশি হলে করোনাভাইরাসের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে হৃদরোগী, ডায়াবেটিক রোগী, বয়ষ্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে,' বলেন ওই সিভিল সার্জন।