উদ্বোধনের আগেই পদ্মায় বিলীন সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্কুল
উদ্বোধনের আগেই পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে সদ্য নির্মিত একটি হাই স্কুল।
স্কুলের পাশাপাশি ভবনটি ছিল ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি মাত্র দুই মাস আগে নির্মাণ করা হয়।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, পদ্মার ভাঙনে উদ্বোধনের আগেই বৃহস্পতিবার এটি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সফিউল্লাহ সরকার জানান, ভবনটি বৃহস্পতিবার সকালে কাত হয়ে পড়ে এবং বিকাল নাগাদ এর ৯৫ ভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে যায়।
শিক্ষক সফিউল্লাহ সরকার বলেন, "ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে গেল। তবে আপাতত ইউনিয়নের বলিয়ারচরে অস্থায়ীভাবে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি টিনের ঘরে স্কুলের পাঠদান হবে।"
চেয়ারপম্যান হযরত আলী জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার সাতটি সরকারি প্রাথমিক ও একটি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি সরকারি স্কুলের ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
পদ্মার অব্যাহত ভাঙন প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, গত আট দিন ধরে পদ্মার ভয়াবহ স্রোতে রাজারচর, লক্ষ্মীরচর, মজিদকান্দি, জাহাজমারা ও মালকান্দি গ্রামের ৩৫০টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। আরও প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ছয় শতাধিক পরিবারের জন্য ৬ মেট্রিক টন চাল এবং আরও ৫০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।