একাত্তরের গণহত্যার জন্য ইসলামাবাদের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা চায় ঢাকা
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে পাক হানাদার বাহিনী সংগঠিত অপরাধের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দেশটির হাই-কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর কাছে তিনি এই বার্তা তার দেশকে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সেই সাথে বাংলাদেশে আটকা পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন এবং সম্পদ ভাগাভাগির বিষয়টি সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব বিষয় উত্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আন্তরিকভাবে হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং বলেন যে সরকারের পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার হলো সব প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক বিস্তৃত করা।
'এ চেতনার আলোকে আমরা পাকিস্তানের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি,' বলেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বিদ্যমান সাফটা চুক্তি ব্যবহার করে আরও বাংলাদেশি পণ্যের পাকিস্তানে প্রবেশ, নেতিবাচক তালিকা শিথিল ও বাণিজ্য বাধা দূর করার আহ্বান জানান।
বর্তমানে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ভারসাম্য পাকিস্তানের অনুকূলে আছে।
হাইকমিশনার ইমরান পাকিস্তানের জনগণ ও সরকারের শুভকামনা প্রতিমন্ত্রীকে জানান এবং বলেন যে সহযোগিতার সম্ভাব্য প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তিনি যথাযথ শ্রম দেবেন।
উভয় পক্ষ ২০১০ সালের পর আর অনুষ্ঠিত না হওয়া পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক সভা (এফওসি) আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে একমত হন।
হাইকমিশনারকে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।