ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি নিহত
কাজ শেষে সাইকেলে বাসায় ফেরার পথে ওমানের একটি সড়কে গাড়ি চাপায় চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল চারটার দিকে ওমানের আদম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত তিন জনের বাড়ি মৌলভীবাজারে। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনায় নিহত মৌলভীবাজারের তিনজন হলেন- কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের সবুর আলী (৩৩) , হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৫) ও কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজারের টিলালাইন এলাকার আলম আহমদ (৩৫)। প্রবাসীদের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহত তিনজনের গ্রামের বাড়িতে শুরু হয় শোকের মাতম।
ওমানের আদম এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিক ও নিহতদের গ্রামের বাড়ির সূত্রে জানা যায়, কাজ শেষে স্ব স্ব বাসায় বাইসাইকেলযোগে ফেরার সময় দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই এই চার বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়।
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর চাচা মাসুদুর রহমান জানান, বিলেরপার গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে লিয়াকত প্রায় ৪ বছর আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। সেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে পরিবার চালাতো লিয়াকত। পাসপোর্ট নবায়ন করে দুই মাস পরে দেশে আসার কথা ছিল। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। তার মৃত্যুতে পরিবারে গভীর শোক বিরাজ করছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নিহত আলমের ছোট ভাই ওয়াসিম বলেন, “আমার বড় ভাই পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার আশায় বাড়িতে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে রেখে ধার-দেনা করে ৬ মাস পূর্বে ওমানে পাড়ি দেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পরিবারের স্বচ্ছলতার জায়গায় আজ আহাজারির মাতম।”
কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহত সবুর আলীর মামাতো ভাই কামাল খান বলেন, “গ্রামের আব্দুস শহীদ এর ছেলে সবুর আলী ১০ বছর ধরে ওমান ছিল। দুই বছর আগে দেশে আসে একবার। কিছুদিন থাকার পর আবার ওমান পাড়ি জমায়। তার মা আছেন, বাবা নেই। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। নিহত সবুরের ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।”