করোনার চিকিৎসা হবে ধার করা চিকিৎসকে
ধার করা চিকিৎসক আর ভেন্টিলেটর নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বগুড়ার মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল। শহরের মধ্যে এমন একটি হাসপাতাল পেয়ে নাগরিকরা খুশি হলেও তারা বলছেন, পর্যাপ্ত সুবিধা ও চিকিৎসক না থাকলে সরকারের এ উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন বলছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।
এর আগে, ২৩ মার্চ এ হাসপাতালটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য প্রস্তত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসকের ৭৩টি পদ থাকলেও আছেন ৫০ জন। বহুদিন আগে আনা ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ৩০ জন ইনডোর মেডিকেল অফিসারের প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদই সৃষ্টি করা যায়নি।রয়েছে নার্সেরও তীব্র সংকট। এছাড়া করোনা ভাইরাস টেস্ট করতে প্রয়োজনীয় কিট, ভাইরাস ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া (ভিটিএম)- কিছুই নেই হাসপাতালটিতে।
এত 'নেই'-এর মাঝে ইনডোর ওয়ার্ডে আছেন কিছু চিকিৎসক। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধার করে আনা হয়েছে।
মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.শফিক আমিন কাজল জানান, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ধার করে আনা হয়েছে দুটি ভেন্টিলেটর; পড়ে আছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। এছাড়া ইনডোর ওয়ার্ড চলছে ধার করা চিকিৎসক দিয়ে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতোই জেলা প্রশাসনও এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সমস্যা উত্তরণে তারা আশাবাদী।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ জানান, বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, শহরের ভেতর করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালটি নির্দিষ্ট করায় রোগীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার অনেক সুবিধা হবে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকলে এ হাসপাতালেরউদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।
সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তা মনে করেন, করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু এখনই আনতে হবে। তাহলে শুধু বগুড়া নয়, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জের অনেক মানুষ এ হাসপাতালের সুফল পাবেন।