করোনা রোধে দোকানের সামনে গোলাকার বৃত্ত
রাঙামাটির বনরূপা কাঁচাবাজারের প্রত্যেকটি দোকানের সামনে চোখে পড়ছে দুই-তিনটি গোলাকার বৃত্ত। বিক্রেতা থেকে এ বৃত্তের দূরত্ব চার ফুট। এসব বৃত্তের ভেতরে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলছেন, পণ্য কিনছেন। সারছেন লেনদেনও।
কাজটি সহজ করেছে রাঙামাটির 'স্বপ্ন বুনন' নামে একটি সেচ্ছাসেবী তরুণ সংগঠন। ওই সংগঠনের সদস্যরা শুক্রবার সকাল থেকে বের হয়ে খোলা রাখার অনুমতি পাওয়া বাজারের দোকানগুলোর সামনে এসব বৃত্ত আঁকছেন।
সংগঠনটির সভাপতি এসকে মুন্না তালুকদার বলেন, করোনা এখন আতঙ্কের নাম। এটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। বাজারে যেহেতু জনসমাগম লেগে আছে, তাই এসব দোকানের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে আমরা সচেতনতামূলক কাজের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় এ কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে রং কিনে কাজটি করছি। আমরা রাঙামাটি শহরের সবগুলো বাজারে এটি করব। একইসঙ্গে উপজেলাগুলোতে এ কাজ চলবে। আমরা গোল বৃত্ত আঁকার পাশাপাশি বিক্রেতাদের সচেতন করছি। তারা যেন ক্রেতাদের বৃত্তের মধ্যে দাড়িয়ে পণ্য কিনতে অনুরোধ করে। এতে উভয়েই করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
বনরূপা বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবুল চাকমা (৪০) বলেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। প্রশাসনের পক্ষে একা এত কাজ করা সম্ভব নয়। ছেলেরা স্বেচ্ছায় কাজটি করছে। এটি আমাদের খুব কাজে দিচ্ছে। আমরা ক্রেতাদের বৃত্তের ভেতর দাঁড়িয়ে পণ্য নেওয়ার অনুরোধ করছি। তারাও আমাদের অনুরোধ রাখছেন।
রাঙামাটিতে দেড় শ'র অধিক বিদেশফেরত লোক হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে করছে।