ক্রেতার ভিড় নেই চট্টগ্রামের শপিংমলগুলোতে, সড়কে ভোগান্তি
সরকারি নির্দেশনায় আজ থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়া হলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলোতে। এদিকে রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়েন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। দুর্ভোগে নাকাল হচ্ছেন সব ধরনের যাত্রীরাই।
রোববার চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড় ও জামালখান এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বহদ্দারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য হাজারো মানুষ রাস্তার দুই ধারে অপেক্ষা করছেন। একটি রিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল বা সিএনজি অটো রিকশা এলেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে তাতে উঠার চেষ্টা করছেন। পোশাকশ্রমিকসহ বিভিন্ন কারখানার লোকজন কারখানার গাড়িতে চড়ে কাজে গেলেও বাকিদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেককেই রোজা রেখে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে আসতে দেখা গেছে।
নিউ মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন মো. তাহের। তিনি বলেন, 'এক ঘন্টা ধরে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই। রিকশা যেতে দুইশ টাকা দাবি করছে; অথচ আমার দৈনিক বেতন পাঁচশ টাকা।'
রিকশা চালক জসিম মিয়া বলেন, 'রাস্তায় গাড়ি কম তাই একটু বেশি ভাড়া চাইতেছি।'
নগরের ব্যাটারি গলি এলাকায় কথা হয় দোকান কর্মচারি রুবেলের সাথে। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১০ টাকায় কর্মস্থলে পৌঁছালেও আজ তার ১০০ টাকা খরচ হয়েছে। মার্কেট খোলা থাকলেও গাড়ি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে তাকে এই বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে নগরের চকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গুলজার টাওয়ার, মতি শপিং কমপ্লেক্স, কেয়ারী ইলিশিয়ামসহ অধিকাংশ মার্কেট ও শপিংমল খোলা আছে। তবে অধিকাংশ দোকানেই তখনো সকল কর্মচারী এসে পৌছায়নি।
বেলা ১২টায় নগরের জিইসে মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজা, কাজির দেওড়ির ভিআইপি টাওয়ারের অধিকাংশ দোকান খোলা ছিল, তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ে একবারেই কম।
মতি শপিং কমপ্লেক্সে 'লিজা শাড়ি বিতান' নামে একটি দোকানের মালিক জাফর আহমদ বলেন, 'মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেওয়া হলেও গাড়ি বন্ধ। তাই কর্মচারীরা সময়মত দোকানে আসতে পারেনি। ক্রেতারাও মার্কেটমুখী হতে পারছেন না। আবার পাঁচটায় বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যবসা কখন করবো বুঝতে পারছিনা'।