খাদ্য অপচয় বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে খাদ্য অপচয় বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। কেননা বিশ্বের অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাবার নষ্ট করা কমাতে হবে। পৃথিবীর একদিকে খাদ্যের অভাব এবং অন্যদিকে ভারী অপচয়। এক্ষেত্রে কোনও খাদ্য নষ্ট করা উচিত নয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্টানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, 'আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশই উন্নত জীবন।'
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রতি অতিরিক্ত খাবারের পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে চিন্তা করার এবং এ বিষয়ে গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কখনো যেন খাদ্য সংকটে না পড়ে এবং কেউ দেশকে যাতে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করব এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।'
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খাদ্য সংকট থাকবে না কারণ সরকার এ বিষয়ে অসংখ্য কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, 'গবেষণার কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।'
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সেরা।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আবাদযোগ্য জমি রক্ষার জন্য ভূমি জোনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই উন্নয়ন করব কিন্তু আবাদি জমি সংরক্ষণ করে।'
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় দেশ যাতে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে না থাকে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা প্রোটিন উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছি।
গত ১২ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম এবং কৃষিমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক এবং বিআইআরআরআই বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান 'বঙ্গবন্ধু ধান ১০০' দিয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন।