গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এটি 'মুজিব বর্ষ' উপলক্ষে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর সরবরাহ করার সরকারের উদ্যোগের অংশ। প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছেন যে দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর জন্য হস্তান্তর করতে সরকার ১১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি সম্পন্ন করেছে।
এ বাড়ির প্রতিটি ইউনিটে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
আগামী মাসেও গৃহহীন ও ভূমিহীন লোকদের মধ্যে আরও এক লাখ বাড়ি বিতরণ করা হবে।
পাশাপাশি, মুজিব বর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২১টি জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পের আওতায় ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণ করে ৩৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
২০২০ সালে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়। যার মধ্যে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এবং ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবার রয়েছে যাদের ১ থেকে ১০ শতক জমি আছে কিন্তু আবাসন ব্যবস্থা নেই।
আশ্রায়ণ ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে।
আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের সময়কাল জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ৪৮৪০.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এটি, জুলাই ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১ লাখ ৯২ হাজার ২৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে।
মোট ৪৮ হাজার ৫০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭টি পরিবার যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে (১ থেকে ১০ শতাংশ) কিন্তু বাড়ি নির্মাণের সামর্থ নেই তাদের আধা-ব্যারাক, বিশেষভাবে নকশা করা বাড়িগুলো পুনর্বাসন করা হয়েছে।