চট্টগ্রামে দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রামের ব্যস্ততম সড়কে যানজট নিরসনে দেওয়ানহাট থেকে আগ্রবাদ বারিক বিল্ডিং সড়ক পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সিএমপি ( চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ)। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্ধ করা হয় এই সড়কে রিকশা চলাচল।
ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৪,০০০ রিকশা চলাচল করতো বলে জানায় রিকশা মালিক পরিষদ। তারা ওই সড়ক থেকে রিকশা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।
এদিকে এই সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে সিএমপি’র পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। সড়কটি দিয়ে ব্যাংক ও বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর, সিইপিজেড (চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন), কেইপিজেড ( কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা ) সহ গুরুত্বপূর্ন রুটে যান চলাচল করে।
ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. তারেক আহমেদ বলেন বিমানবন্দর সড়কের ব্যস্ততম অংশ দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধে পূর্বের সিন্ধান্ত অনুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “পাইলট প্রকল্প হিসেবে ওই অংশে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। যানজট কমলে নগরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করা হবে।"
রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো: সিদ্দিক মিয়া বলেন, “আমরা ১৯৮৬ সাল থেকে সড়ক থেকে রিকশা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। বর্তমানে ভিআইপি ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যানজট লেগে থাকার কারণে সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানিয়ে রিকশা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মো: সিদ্দিক মিয়া বলেন, দেওয়ানহাট থেকে আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত প্রতিদিন ৪,০০০ রিকশা চলাচল করে। নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশা আছে ৭০,০০১ টি।
তবে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে লাইসেন্স প্রাপ্ত এবং লাইসেন্স ছাড়া ১ লাখ রিকশা চলাচল করে।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী একটি তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “ব্যস্ততম এই সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ ছিল রিকশা। প্রায়শই যানজটের কারণে অফিসে যেতে দেরি হয়ে যেত। এই সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ায় যানযট কমার পাশাপাশি আমাদের ভোগান্তিও কমে আসবে।”