চট্টগ্রামে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল শুরু
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে দুরপাল্লার বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে বাস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতেও শুরু হয়েছে সিটি সার্ভিস বাস ও অটো টেম্পু চলাচল।
তবে যাত্রী কম হওয়ায় সকল রুটে গাড়ির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলছেন, ১ জুন আমরা প্রস্তুতি হিসেবে কিছু গাড়ি পরিচালনা করছি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সময়ে গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে উত্তরমুখী ৬০ রুটে প্রায় ৭৫০টি বাস চলাচল করে। করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী কম থাকায় ১ জুন ৫০ থেকে ৬০টি বাস পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আসন সংখ্যার ৫০ ভাগ যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে পরবর্তীতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, নগরীতে ১১ শ' সিটি সার্ভিসের বাস পরিচালনা করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী কম থাকায় ৭৫০ থেকে ৮০০ বাস চলাচল করছে। কাউন্টারভিত্তিক পরিচালিত ৫৫টি মেট্রো প্রভাতী বাসে দুই সিটে এক জন বসিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা গেলেও লোকাল বাসে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে যাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া আদায় না করার জন্য বাসের চালক হেলপারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, নগরীতে অটোটেম্পু, অটোরিকশা চলাচল করলেও যাত্রী তুলনামুলক কম। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৫টি রুটে দুই হাজার টেম্পু চলাচল করলেও ১ জুন প্রায় ১৫ শ' টেম্পু চলাচল করছে। ৯৫ ভাগ চালক মাস্ক ব্যবহার করছে। যাত্রীদের থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে ১৩ হাজার অটোরিকশা চলাচল করলেও বর্তমানে প্রায় আট হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে।