চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ১৮ বিদ্রোহী
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান ১৮ কাউন্সিলর এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন পাননি। কিন্তু তারা প্রত্যেকে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
যারা দলের মনোনয়নপত্র পাননি, এদের অনেকে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়। তবে কেউ কেউ বিতর্কিতও আছেন। বিদ্রোহী এসব প্রার্থীরা মনে করছেন, ঘোষিত তালিকাই চূড়ান্ত নয়।
মনোনয়ন বঞ্চিত ও ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, দলীয় সমর্থন বদলাতে পারে। পর্যালোচনা করে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাহেদ ইকবাল বাবু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জহুরুল আলম জসিম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাবের আহমেদ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল ফজল কবির আহমদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসএস এরশাদ উল্লাহ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এইচ এম সোহেল, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল কাদের, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তারেক সোলেমান সেলিম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জয়নাল আবেদীন।
সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন পারভীন জেসি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবিদা আজাদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আঞ্জুমান আরা বেগম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফারহানা জাবেদ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌসি আকবর।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী ঠিক করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিদ্রোহীদের সরাতে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি চূড়ান্ত বৈঠকে করবেন। সেই বৈঠকে সবকিছু চূড়ান্ত হবে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৯ মার্চ এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৯ মার্চ।