চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় একসঙ্গে কাজ করবে সিয়াকো ও ডব্লিউআইইএফ
"ভবিষ্যতের সম্ভাবনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নবম ডব্লিউআইইএফ গ্লোবাল ডিসকোর্সের যৌথভাবে আয়োজন করেছে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় সহযোগিতা ফাউন্ডেশন (সিয়াকো) এবং বিশ্ব ইসলামিক অর্থনৈতিক ফাউন্ডেশন (ডব্লিউআইইএফ)।
গত ৩০ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার বাইরে বাংলাদেশে আয়োজিত হলো ফ্ল্যাগশিপ গ্লোবাল ডিসকাশন।
নবম ডব্লিউআইইএফ গ্লোবাল ডিসকোর্স মূলত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রবণতাগুলি চিহ্নিত করেছে। যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান নিয়ে আসবে, গঠন করবে একাডেমিক, উদ্যোক্তা, শিল্প নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ফোরআইআর।
ডব্লিউআইইএফ-সিয়াকো গোলটেবিল উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী সেক্টর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। সিয়াকো ফাউন্ডেশন বোর্ডের গভর্নর সদস্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী। অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে তিনি পূর্বযুগের চ্যালেঞ্জ এবং শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে একজন মানুষ হিসেবে প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি মনে করেন প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিপ্লবের আদর্শ অর্থটি সমাজের সকল মানুষের জীবন উন্নতি করা। তিনি উল্লেখ করেন যে, জ্ঞান অপ্রচলিত হয়ে উঠছে এবং দ্রুত চিন্তাভাবনার প্রযুক্তিগত বিশ্বে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রয়োজন। আর এটি সিয়াকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও নতুন প্রযুক্তির অভিযোজন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে রবির অবদান অনেক।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিয়াকো ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য অধ্যাপক এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) প্রথম উপাচার্য ড. এম. আনোয়ার হোসেন, ডব্লিউআইইএফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং মালয়েশিয়ার প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী তুন মুসা হিতমের পক্ষে শুভেচ্ছা ও সূচনা বক্তব্য দেন তান শ্রী ড. ওয়ান মোহাম্মদ জাহিদ। এ ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. শমসের আলী ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পৌঁছানোর বিষয়টি উপস্থিতি সবার সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম শমসের আলী, এ.টি কেয়ার্নি ইনকপোরেশন মালয়েশিয়ার পার্টনার ড. হাসান শফি, মালয়েশিয়ার ইন্ডাস্ট্রি-গভর্নমেন্ট গ্রুপ ফর হাই টেকনোলজির সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ সুলায়মান, ইকো বমি আর্কিটেক্ট ব্রুনাই দারুসালামের আইন পরিষদের পরিচালক ও প্রধান স্থপতি শীতি রোজাইমারিয়্যান্টি ডিএসএলজে হাজী আবদুল রহমান এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর আশফাক জামান সিপিএ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের জানান, আগামীতে ফোরজি সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সবার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমরা আরও ভালোভাবে কেমন করে ম্যাক্রো প্রযুক্তি ব্যবহার করব সেটি জানতে হবে। এ ছাড়াও তিনি আয়োজিত ইভেন্টকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডার এবং প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।