জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে সমুদ্রে মাঝির মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া উপকূলে একটি বোটের মাঝি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর লাশের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে খুলনা থেকে সন্দ্বীপ আসার পথে হাতিয়া উপকুলের কাছাকাছি এলাকায় মারা যায় ওই বোটের মাঝি মোহাম্মদ দিদার।
শুরুতে লাশসহ ওই বোটের মাঝিদের সন্দ্বীপ উপকুলে ভিড়তে না দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এখন লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হচ্ছে। লাশটি সন্দ্বীপে দাফন করার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ওই বোটের ৭ জন মাঝি এবং খালাসিদের বোটের মধ্যেই কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই মাঝিসহ সবাইকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে সন্দ্বীপের নিজ বাড়িতে দাফনের পাশাপাশি তার নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অন্য মাঝিদের বোটে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ওই বোটের খালাসি মামুন জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে লবণ দিয়ে তারা খুলনা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হাতিয়ার উপকূলের কাছাকাছি রাত আড়াইটায় মারা যান মাঝি মোহাম্মদ দিদার। লাশ নিয়ে সন্দ্বীপে বোট ভেড়ানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন বাধা দেয়। আমরা লাশ নিয়ে প্রায় ১২ ঘন্টা ভাসতে থাকি। শুরুতে লাশসহ সবাইকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার সিন্ধান্ত দেয় প্রশাসন। এখন বলছে লাশ দাফন করে আমাদের সবাইকে সাগরে থাকতে হবে।
ওই বোটের সকল মাঝি ও খালাসি সবার বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলায়।